
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
২৫ আগষ্ট সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দীন গ্রহণযোগ্যতা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এপিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, অভিযোগপত্রে ৩৮ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় এজাহারে উল্লিখিত আসামি গগন দাশ, বিশাল দাশ ও রাজকাপুরকে এবং সঠিক নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তদন্তে প্রাপ্ত সুকান্ত দত্তকে অব্যাহতির আবেদন করেন। সুকান্ত অস্ত্র, মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ ৮টি মামলার আসামি। রিপোর্টেও তাকে দুর্ধর্ষ আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সুকান্ত দত্তের সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মে তদন্ত রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। ঘটনার পর মূল হত্যাকারীদের সঙ্গে তার ছবি ভাইরাল হয়েছে। সুতরাং তাকে আসামি হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত রাখার আবেদন জানানো হয়। পরে আদালত এই আবেদন গ্রহণ করেন। সবমিলিয়ে আদালত সুকান্ত দত্তসহ মোট ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।
গত ১০ আগস্ট আদালত বাদীর উপস্থিতিতে রিপোর্ট শুনানির জন্য সমন জারি করেন। সেই আদেশ মোতাবেক ২৫ আগস্ট বাদী জামাল উদ্দিন আদালতে হাজির হন এবং তদন্তপ্রাপ্ত আসামি নারাজি দাখিল করবেন না মর্মে আদালতকে অবহিত করেন।
চার্জশিটে বর্ণিত আসামিদের মধ্যে রয়েছে— চন্দন দাশ মেথর, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, শুভ কান্তি দাশ, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত প্রকাশ দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাশ, ওমকার দাশ, বিশাল, লালা দাশ, সামীর, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা মেথর, দুর্লভ দাশ, সুমিত দাশ, সনু দাস, সকু দাশ, ভাজন, আশিক, শাহিত, শিবা দাস ও দ্বীপ দাশ।
গত ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিম্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় তাকে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা।
একপর্যায়ে ওইদিন বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে হত্যা করা হয় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ কে। এ ঘটনায় গত ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী আইনজীবী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ ছিল।