
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্টে ওয়াসিম আকরাম কে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের হরিয়ানা পুলিশ।
ওয়াসিম আকরামকে গ্রেপ্তার করা হয় ১লা অক্টোবর বুধবার তার গ্রাম থেকে।
ওয়াশিম আক্রাম হরিয়ানা রাজ্যের পালওয়াল জেলার ওয়াসিম কোট গ্রামের বাসিন্দা।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরের অভিযোগে মো. তৌফিক নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মো. তৌফিককের বাড়ি আলিমেভ গ্রামে। মো. তৌফিককে জেরা করেই ওয়াসিমের সন্ধান মিলেছে পুলিশের। এই তৌফিক এবং ওয়াসিম দু’জনেরই যোগাযোগ ছিল আইএসআই এবং পাকিস্তানের হাই কমিশনের সঙ্গে। ইন্টারনেট কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন তাঁরা।
আক্রমের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে বেশ কিছু আপত্তিকর এবং দেশবিরোধী তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ওই চ্যাটের কিছুটা ডিলিট করে দিয়েছে। তবে তার ফোন বাজেয়াপ্ত করার পরে তা পুনরুদ্ধার করেছেন সাইবার সেলের আধিকারিকরা।
জানাযায়, ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান হাই কমিশনের (পিএইচসি) ভিসা ডেস্ককে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি ভিসা দেওয়া কথা বলে এই দুজন লোকেদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ(ঘুষ) করেছিলেন। এই তহবিলের একটি বড় অংশ পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দিত, যার মধ্যে দানিশ নামে একজনও ছিল, যিনি পরে এই অর্থ পর্যটন ভিসায় ভারতে প্রবেশকারী আইএসআই এজেন্টদের কাছে পৌঁছে দিতেন। এই তহবিলগুলি এজেন্টদের ভারতে থাকার জন্য সহায়তা করত এবং তাদের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সহায়তা করত।
পাকিস্তানের ভিসা করার সময় ওয়াশিম আক্রামের সাথে পরিচয় হয় পাকিস্তান হাই কমিশনের ভিসা কর্মী জাফরের(মুজাম্মিল হুসেন) সাথে। ওয়াশিম আক্রামের ভিসা প্রাথমিক আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, কিন্তু ২০,০০০ টাকা ঘুষ দেওয়ার পর, ভিসা হাতে পায় এবং ২০২২ সালের মে মাসে পাকিস্তানের কাসুরে যান। পাকিস্তান থেকে ফিরে আসার পর, ওয়াশিম আক্রাম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জাফরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখেন।
পরে ওয়াশিম আক্রাম পাকিস্তানের ভিসা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করতে শুরু করেন। তদন্তকারীরা দেখতে পান যে তার অ্যাকাউন্টে ৪-৫ লক্ষ টাকা লেনদেন করা হয়েছিল, যার মধ্যে নগদ টাকা পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়াও তিনি জাফরকে সিম কার্ড, ওটিপি এবং বড় অঙ্কের ৮০,০০০ টাকা ১.৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। লজিস্টিক সহায়তার পাশাপাশি, ওয়াসিম এবং তৌফিক ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পর্শকারত গোপন তথ্যও পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছেন।
এই গ্রেপ্তারের ঘটনা টি পাকিস্তান হাই কমিশনের ভিসা ডেস্কের অন্যান্য গুপ্তচরবৃত্তির মামলার মতো একই ধরনের।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই গুপ্তচর বৃত্তির নেটওয়ার্কগুলির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মকর্তা জাফর(মুজাম্মিল হুসেন) এবং দানিশ উভয়কেই ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।