ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আটক বাঁধন সাহা।

ছবি: আটক বাঁধন সাহা।

হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে আটক বাঁধন সাহা।

২১ নভেম্বর শুক্রবার রাতে গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী বাজার থেকে বাঁধন সাহা আটক করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

২২ নভেম্বর শনিবার দুপুরের দিকে বাঁধন সাহাকে আদালতে পাঠানো হয়।

আটককৃত বাঁধন সাহা (৩২) গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বাসিন্দা। সে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ইসকন) এর সক্রিয় সদস্য দাবি তৌহিদী(জঙ্গি) জনতার।

স্থানীয় ও তৌহিদী(জঙ্গি) জনতার সাথে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জার নবী(সাঃ)কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাত্ক্ষণিকভাবে স্থানীয় ইসলামি তৌহিদী(জঙ্গি) জনতা ফুঁসে ওঠে। তাত্ক্ষণিকভাবে বরমী বাজারের আশপাশের মাদ্রাসা মসজিদের ইমাম মুসল্লীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। অবস্থা বেগতি দেখে পুলিশের কয়েকটি টিম অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে। এসময় হাজার হাজার ইসলামি তৌহিদী(জঙ্গি) জনতা তার বাড়ির সামনে জরো হয়। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। আটককৃত যুবক ইসকনের সক্রিয় সদস্য।

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ বরমী শাখার সভাপতি মাওলানা মাহাদী হাসান বলেন, ‘সে ইসকনের একজন সক্রিয় সদস্য। আমাদের নবী (সাঃ) নিয়ে কটুক্তি করার সাহস কই পেলো। এর সঠিক বিচার না হলে ইসলামি তৌহিদী(জঙ্গি) জনতা তার বিচার করবে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক সাংবাদিকে বলেন, ‘ঘটনা অবগত হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পাঠানো হয়। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আগেই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। বেশ সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হলে থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সে ইসকনের সক্রিয় সদস্য বলে তৌহিদী(জঙ্গি) জনতা দাবি করেছে। আমরা তদন্ত না করে এবিষয়ে বলা যাবে না। এ ঘটনায় মাওলানা মাহাদী হাসান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা আকারে রজু। ওই মামলায় শনিবার দুপুরের দিকে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *