কাশ্মীরি পন্ডিত সরলা ভাট হত্যা মামলার তদন্ত শুরু!

১৯৯০ সালের ১৪এপ্রিল ভারত-কাশ্মীরের শ্রীনগরে কাশ্মীরি পন্ডিত নার্স তরুণী সরলা ভাটকে গণধর্ষণ করে হত্যা করে মুসলিমরা। কাশ্মীরি পন্ডিত সরলা ভাট কাশ্মীর শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসের একজন নার্স ছিলেন। সশস্ত্র জঙ্গিরা সরলা ভাটকে তার কর্মক্ষেত্র থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। অজ্ঞাত স্থানে কাশ্মীরি পন্ডিত সরলা ভাটকে গণধর্ষণ করে করে মুসলিমরা। পরে জীবিত অবস্থায় সরলা ভাটকে করাত কলের করাত দিয়ে দু’পায়ের মাঝ বরাবর চিড়ে হত্যা করে। ১৯ এপ্রিল মরদেহের খন্ডিত অংশগুলি শ্রীনগরের কেন্দ্রস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। সরলা ভাটের মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে হত্যার আগে তাকে গণধর্ষণ ও নির্মমভাবে কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছিল। সরলা ভাটের হত্যা ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পন্ডিতদের গণহত্যার ভয়ঙ্কর স্মারকগুলির মধ্যে একটি।

১৯৯০ সালের এপ্রিলে কাশ্মীরি পন্ডিত নার্স তরুণী সরলা ভাটকে গণধর্ষণ করে হত্যার পর জুন মাসে আরেক তরুণী গিরিজি টিকুকেও একই ভাবে হত্যা করা হয়। যার লক্ষ্যে ছিল কাশ্মীর থেকে হিন্দু পন্ডিতদের নির্মূল করা তাদের কে তাড়িয়ে দেওয়া না হয় ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা।

এরপর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ১৯৯০ সালের জুন মাসের মধ্যে কাশ্মীর থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ কাশ্মীরি পন্ডিত পালিয়ে যায়। আজও তারা ফিরতে পারে নাই কাশ্মীরে।

আজ ৩৫ বছর পর কাশ্মীর হিন্দু গণহত্যার বিচারে সক্রিয় হল জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ SIA। কাশ্মীরি পন্ডিত নার্স সরলা ভাট হত্যা মামলায় কাশ্মীরি উপত্যকাজুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশনের বহু ঠিকানায় অভিযান পরিচালনা করেছে SIA।

ইতিমধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে জঙ্গি সংগঠন জেকেএলএফের প্রাক্তন নেতাদের ঠিকানায়, তাদের মধ্যে রয়েছে পীর নুরুল হক শাহ এবং হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতা ইয়াসিন মালিকের বাড়ি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *