হিন্দু সেজে কীর্তনে চুরি করতে এসে আটক তিন মুসলিম নারী।

নাটোরের বড়াইগ্রামের লক্ষিকোল বাজারস্থ শ্রী শ্রী কালী মাতার মন্দিরে মহা হরিনাম ও লীলা কীর্তন অনুষ্ঠানের শনিবার শেষ দিন কীর্তন চলাকালীন সময়ে ৩ মুসলিম নারী শাখা-সিঁদুর পড়ে হিন্দু সেজে উপস্থিত হয়। তারা পরিকল্পিতভাবে গলায় সোনার চেইন আছে এমন হিন্দু নারীদের পাশে বসে। কীর্তন চলাকালে সাধারণত ভক্তরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে হরি নাম জপ করে থাকে।

প্রতারক এই ৩ নারীও এভাবে দলে ভিড়ে সোনার চেইন পড়া হিন্দু নারীকে জড়িয়ে ধরে এবং কৌশলে সোনার চেইন খোলে। কিন্তু এতে ধরা পড়ে যায় তারা। আটক করা হয় তাদেরকে।

আটককৃতরা হলেন, ১। শামসুন্নাহার (২৮), পিতা- আব্দুর রহমান, স্বামী- দুলাল মিয়া, সাং- ধরমন্ডল, ২। লিপি আক্তার (৩০), পিতা- কাজল, স্বামী- আরিছ মিয়া, ৩। রোজিনা খাতুন (২৬), পিতা- আবু মিয়া, স্বামী- হুমায়ুন কবির, উভয় সাং- ধর মন্ডল (চকবাজার), সর্ব থানা -নাসিরনগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তাদেরকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, বড়াইগ্রামের লক্ষীকোল বাজারস্থ কালী মন্দিরের পাশেই কীর্তন উপলক্ষে বেড়াতে এসেছিলেন চায়না রানী (৫৫), স্বামী -মৃত মন্টু কুন্ডু, সাং- বিরামপুর, থানা- বিরামপুর, জেলা- দিনাজপুর। এসময় মেয়ের জামাই মন্টু কুমার কুন্ডু (৩৫) পাশে বসা ছিলো। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাখা-সিঁদুর পড়া তিনজন নারী মন্দিরের গিয়ে তাদের পাশে ঘিরে বসে থাকে। এক পর্যায়ে কীর্তনের আবেগঘন আসর জমে উঠলে প্রতারক দুই নারী চায়না রানী ও মন্টু কুমার কুন্ডুকে আলিঙ্গন করে এবং এ সময় তাদের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন কৌশলে খুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে এতে টের পেয়ে যায় মন্টু কুমার কুন্ডু এবং হাতেনাতে সে ধরে ফেলে প্রতারক নারীকে। পরে উপস্থিতদের সহযোগিতায় চিহ্নিত করা হয় আরও দুইজন প্রতারক ২ নারীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *