মালিকপক্ষের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করে বিপ্লব কুমার ঘোষ।

ছবি: নিহত বিপ্লব কুমার ঘোষ।

মালিকপক্ষ মাহমুদা হক কল্পনা (৬০) এবং ব্যক্তিগত গাড়িচালক বোয়ালীর হাসান আলীর (২৬) প্ররোচনায় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় বিপ্লব কুমার ঘোষ (৪৪)।

ঘটনাটি ঘটে, ১৭ আগস্ট রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা শহরের সাহাপাড়ার বাসায় শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বিপ্লব আত্মহত্যা করেন। নিহত বিপ্লব কুমার ঘোষ সিরাজগঞ্জের দরগাহ রোড এলাকার মৃত নিখিল ঘোষের ছেলে।

জানাযায়, বিপ্লব কুমার ঘোষ দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে টাঙ্গাইলের পূর্ব আদালতপাড়ার কেয়া সিনেমা হল সংলগ্ন মেসার্স মোল্লা অ্যান্ড সন্স নামক টিনের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দোকান মালিক অসুস্থ হওয়ায় তিন বছর আগে স্ত্রী মাহমুদা হক কল্পনাকে দোকানের দায়িত্বভার দেওয়া হয়।

বিপ্লব ঘোষের কাছ থেকে সব হিসাব-নিকাশ বুঝে নেন কল্পনা। পরে বিপ্লব চাকরি ছেড়ে দেন। দোকান বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। এরপর আসামিরা বিপ্লব ঘোষের কাছে নানা অজুহাতে ৭০/৮০ লাখ টাকা দাবি করেন।

বিপ্লব ঘোষের স্ত্রী কৃষ্ণা সরকার বলেন, তার স্বামী আসামিদের নানা চাপে সবসময় টেনশন করতেন। মাহমুদা হক কল্পনা ও তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার হাসানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন তাদের বাড়িতে এসে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকার জন্য একাধিকবার ভয়ভীতি-হুমকি দিয়েছেন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানসিক চাপে গত ১৭ আগস্ট দুপুরে টাঙ্গাইল সাহাপাড়ার বাসায় শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। এখন আমরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। ওরা আমার সব শেষ করে দিয়েছে। আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।

বিপ্লব ঘোষের স্ত্রী কৃষ্ণা সরকার আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করেছেন, মাহমুদা হক কল্পনা (৬০) এবং ব্যক্তিগত গাড়িচালক বোয়ালীর হাসান আলীর (২৬) বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *