নেপালে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ!

ছবি: নেপালে প্রতিমা বিসর্জনে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ।

নেপালে গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রা একটি মুসলিম এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু মুসলিম শোভযাত্রা থামিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া চেষ্টা করলে হিন্দু-মুসলিম দু পক্ষের মধ্যে বির্তক শুরু হয়। বির্তক চলাকালিন গণেশ প্রতিমা লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার পর শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে আহত হয় দুই জন।

৩০ আগষ্ট শনিবার নেপালের মাধেশ প্রদেশের রাজধানী জনকপুরধাম সাব-মেট্রোপলিটন সিটি-২০-এর ঝান্ডা চকে এই ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, গণেশ পূজার পর স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিমা বিসর্জন দিতে কাশিভূঁইয়ের পুকুরে গণেশ প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা করে যাওয়ার সময় ঘটে সংঘর্ষ। শোভযাত্রাটি মুসলিম এলাকা জনকপুরধাম সাব-মেট্রোপলিটন সিটি-২০-এর ঝান্ডা চকে পৌঁছালে মুসলিমরা বাধা প্রদান করে। বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে কাশিভূঁইয়ের পুকুরে যাওয়ার রাস্তা। তখন হিন্দু-মুসলিম দু পক্ষের মধ্যে তর্ক-বির্তক শুরু হয়। তর্ক-বির্তকের সময় গণেশ প্রতিমা লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার পর তৈরী হয় উত্তেজনা। হিন্দু-মুসলিম দু পক্ষের মধ্যে সৃষ্টি হয় সংঘর্ষ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদনে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষে দুই জন গুরুতর আহত হয়েছে।

যেকোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে প্রায় ২০০ জন নেপাল পুলিশ এবং অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ডিএসপি সিং বলেন, জনকপুরধাম থেকে দেবপুরা-রূপাইথা এবং জাটাহি থেকে জনকপুরধাম যাওয়ার রাস্তার উভয় পাশে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের সময় প্রায় একই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর যখন হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়, বিশেষ করে মূর্তি বিসর্জনের সময়, তখনই কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে। এই বছর গণেশ চতুর্থীর প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও সেই পুরনো ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার কিছু জেহাদি মানসিকতার মানুষ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃতভাবে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *