
পুজা দেখতে বেরিয়ে মুসলিম কর্তৃক ধর্ষণের শিকার আদিবাসী তরুণী।
আদিবাসী গারো তরুণীকে(১৬) পুজা দেখার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নেয় মুসলিম যুবক মো. মিলন। পুজা দেখিয়ে জোর করে তরুণীকে মো. আবুল বাশারের অটোরিকাশায় তুলে দেয় ওই মুসলিম যুবক। পরে মো. আবুল বাশার নির্জন স্থানে নিয়ে আদিবাসী তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে ময়মনসিংহ জেলা হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলী ইউনিয়নে।
ভুক্তভোগী আদিবাসী গারো তরুণী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অভিযুক্ত মো. মিলন একই এলাকার নয়াপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে।
জানাযায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে পুজা দেখার কথা বলে মোবাইল ফোনে কল করে বাড়ি থেকে আদিবাসী তরুণীকে থেকে ডেকে নেন মুসলিম যুবক মো. মিলন। সারা দিন পূজা দেখিয়ে রাতে তরুণীকে জোর করে একই এলাকার মো. আবুল বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেয় ওই মুসলিম যুবক। পরে তরুণীকে নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মো. আবুল বাশার। ধর্ষণের পর মো. আবুল বাশার রাত ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের গামারিতলা মোড়ে তরুণীকে ফেলে চলে যান। সেখান থেকে ভুক্তভোগী তরুণী বাড়ি গিয়ে ঘটনা জানালে থানা-পুলিশের সহায়তা নেয় পরিবার।
ভুক্তভোগী তরুণীর মা বলেন, ‘মো. মিলন আমার মেয়ের পূর্বপরিচিত। পূজা দেখার জন্য মেয়েকে সে ডেকে নেয়। পরে অটোরিকশায় জোর করে তুলে দিলে এ ঘটনা ঘটে। আমরা এর বিচার চাই।’
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুণ বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আপাতত একজনকে আসামি করা হচ্ছে। অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পেলে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।