
আদিবাসী গৃহবধূ কে হরিপুর মাঠ ব্রিজের নিচে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে খাইরুল বাদশা। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে খাইরুল বাদশা ওরফে কটা (৪০) কে আটক করেছে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ।
জোরপূর্বক এই ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে রাজশাহী জেলা গোদাগাড়ী উপজেলার হরিপুর মাঠ ব্রিজের নিচে। ভুক্তভোগী চামেলী রাণী ৫ মাসের অন্তস্বত্বা এবং ১ টি ২ বছরের সন্তান রয়েছে।
অভিযুক্ত খাইরুল বাদশা ওরফে কটা (৪০) গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দ্বিগরাম ঘুন্টি গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে। সংসার জীবনে বাদশা ৪ সন্তানের জনক।
জানাযায়, গত ১লা সেপ্টেম্বর খাইরুল বাদশা ওরফে কটা ওই আদিবাসী গৃহবধূকে গোদাগাড়ী উপজেলার হরিপুর মাঠ ব্রিজের নিচে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্ট করে। এসময় বিবস্ত্র অবস্থায় দফরপুর গ্রামের লোকজন দেখতে পায়। প্রতক্ষদর্শীরা এগিয়ে গেলে খাইরুল বাদশার ব্যবহুত মোটর সাইকেল ও এন্ড্রয়েড ফোন ফেলে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামের লোকজন ভিকটিম চামেলি রানীকে উদ্ধার করে গ্রামপুলিশের জিম্মায় রাখেন।
পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর এলাকার মেম্বার ও গ্রাম প্রধানদের সমন্বয়ে আপোষ মিমাংসার কথা হয়। এতে খাইরুল বাদশা অনুপস্থিত থাকায় গ্রামের যুব সমাজ তার বাড়িতে চামেলি রাণীকে রেখে আসে।
এই ঘটনার পরে তার স্বামী ভিকটিমকে প্রত্যাখান করেছেন এবং আদিবাসী সমাজ ব্যবস্থায়ও তাকে মেনে নিচ্ছেন না।
ভুক্তভোগী চামেলি রাণীর করা মামলায় ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে খাইরুল বাদশা কে গোদাগাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি রুহুল আমিন জানান, চামেলি রাণীর সাথে কথা বলে মামলার এজাহার লেখা হয়েছে। তিনি যেভাবে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন সেভাবেই মামলা সাজানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হবে।