শ্মশানের পুকুরের মালিকানা দাবি করে, পুকুর ভরাট করে বসতি তৈরী করে। পুকুরে বেড়া নির্মাণ করে শ্মশানে লাশ সৎকারে বাধা প্রদান করে মো. মনির।
গত কয়েক বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় সিটি শ্মশানের পুকুর দখলের এই চেষ্টা চালায় মো. মনির।
শ্মশানের পুকুর দখলের বিষয়ে ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও অভিযুক্ত মো. মনিরের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সভায় দুই পক্ষ তাদের আলোচনা তুলে ধরে। পরবর্তীতে শ্মশানের পুকুর দখল করে দেয়া বেড়া অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
আলোচনা সভায় সনাতন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ জানান, ‘বিগত ৩০০ বছর যাবৎ সনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে শ্মশানে পূর্জা অর্চণা, শবদেহ দাহ, দাহের পর নাভি পুকুরে বিসর্জন দেওয়ার ধর্মীয় রীতি পালন করে আসছেন।
কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে গত কয়েক বছর যাবৎ জনৈক মনির গং পুকুরের মালিকানা দাবি করে। দেশের জলাশয় ভরাট আইন অমান্য করে পুকুর ভরাট, বসতি নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছেন। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর শ্মশানের চুলা সংলগ্ন এলাকার পিছনের পুকুরে বেড়া নির্মাণ করায় শবদেহ দাহ করার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে, অথচ এই পুকুরের ব্যাপারে একটি মামলা বিচারাধীন আছে এবং উল্লেখিত পুকুরটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান আছে।’
সনাতন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ পুকুর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান।
জেলা প্রশাসক উভয় পক্ষের আলোচনা শেষে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে শ্মশানের পিছনের পুকুরের বেড়া অপসারণের নির্দেশ দেন এবং মনির নির্দেশ মানার সম্মতি প্রদান করেন। একই সাথে জেলা প্রশাসক পুকুর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার আশ্বাস দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিতোষ কান্তি সাহা, শ্মশান উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, নারায়ণ চন্দ্র দেব, শংকর সাহা, সুজন সাহা, তারাপদ আচার্য্য, ভবানী শংকর রায়, লিটন পাল, হিমাদ্রি সাহা, এড. রাজিব মন্ডল, আশীষ দাস, প্রদীপ দাস, অভয় রায়, প্রদীপ সরকার, কিশোর দাস, সৌরভ সাহা, সুজন দাস, সুব্রত সাহা, কার্তিক ঘোষ, পূরবী মজুমদার, আনন্দ সেরওয়াগী, গোবিন্দ ঘোষ, সমীর কর্মকার, কানাই সাহা, খোকন সাহা, নয়ন সাহা, ঋষিকেশ মন্ডল, শিবু দাস প্রমুখ।