লাভ জিহাদের পরিণতি: পলি কে কুপিয়ে হত্যা করে নাহিদুল।

ছবি: লাভ জিহাদের শিকার পলি রানী হালদার পূরবী।

রাজধানী ঢাকার ইডেন কলেজে ছাত্রী পলি রানী হালদার পূরবী কে লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে কুপিয়ে হত্যা করে জিহাদী মুসিলম যুবক নাহিদুল বখস (৩০)।

২০০৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে রাজধানী ঢাকার ১২৬ লালবাগ রোডে ভাড়া বাসার রান্নাঘর থেকে লাভ জিহাদের শিকার পলি রানী হালদার পূরবীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

হত্যার ঘটনায় সোমবার সকালে তাঁর বড় ভাই পুলকেশ চন্দ্র হালদার বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেন। তবে এজাহারে তিনি আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করেননি।

লাভ জিহাদের শিকার পলি রানী হালদার পূরবী পিরোজপুর জেলা জিয়ানগর উপজেলার চরনিপ্রত্যাশায় এলাকার পরিতোষ চন্দ্র হালদারের কণ্যা।

অভিযুক্ত জিহাদী নাহিদুল বখসের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায়।

জানাযায়, একসময় জিহাদী নাহিদুল বখস বড়লেখা বাজারে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের মোবাইল ফোনের দোকান চালাতেন। সেখানে বন্ধু তাজুলের মাধ্যমে তিনি পলি রাণী হালদারের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে পলি রানী হালদারকে লাভ জিহাদের ফাঁদে পেলেন জিহাদী নাহিদুল বখস। পলি রাণী ফাঁদে পরে গেলে জানুয়ারি মাসে ঢাকায় এসে আউটার স্টেডিয়াম মার্কেটের একটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে চাকরি নেয় জিহাদী নাহিদ। সর্বশেষ ১৩ ফেব্রুয়ারি জিহাদী নাহিদ এবং ভুক্তভোগী পলি দুজনে সিনেমা হলে গিয়ে মনপুরা চলচ্চিত্র দেখেন। পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিন সময় না দেওয়ায় পলির উপর ক্ষুদ্ধ হয় জিহাদী নাহিদ।
১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে পলিকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন জিহাদী নাহিদ এবং গুলিস্তানের ফুটপাত থেকে চাকু ও একটি স্ক্রু ড্রাইভার কেনেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জিহাদী নাহিদ পলির মোবাইলে ফোন করে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কেনা উপহার নিজ হাতে তাঁর গলায় পরিয়ে দেওয়ার কথা বলে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পলিদের বাসায় যায় জিহাদী নাহিদ। এ সময় বাসায় কেউ ছিল না। কথা বলার একপর্যায়ে জিহাদী নাহিদ গলায় উপহার পরিয়ে দেওয়ার জন্য পলিকে চোখ বন্ধ করতে বলেন। পলি দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করলে তিনি পেছন থেকে গলায় চাকু চালান। চাকু বাঁকা হয়ে গেলে পলিকে টেনে-হিঁচড়ে রান্নাঘরে নিয়ে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

১৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত হয়, পলি হত্যার সঙ্গে নাহিদ জড়িত। নাহিদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে নাহিদ কে আউটার স্টেডিয়ামে ডেকে এনে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি-অনুযায়ী তাঁর পরনের রক্তমাখা জিন্সের প্যান্ট, কালো গেঞ্জি, একটি চাকু, স্ক্রু ড্রাইভার ও পলির ব্যবহার করা মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়।

One thought on “লাভ জিহাদের পরিণতি: পলি কে কুপিয়ে হত্যা করে নাহিদুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *