
ভারত ও বাংলাদেশের শিক্ষিত হিন্দু মেয়ে গুলো বেশি লাভ জিহাদের শিকার।

গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশের বরিশাল জেলা বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ফলাঘর গ্রামের অমল কৃষ্ণ সাহার কন্যা সৃষ্টি সাহা লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে, বাকেরগঞ্জ উপজেলা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মো: মাহবুব মাঝির পুত্র সান মাঝি কে বিয়ে করে। লাভ জিহাদের শিকার সৃষ্টি সাহা স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলো।

গত ১০ নভেম্বর ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সেহোর জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মডেল খুশবু আহিরওয়ারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খুশবু আহিরওয়ার মুসলিম যুবক মো. কাসিমের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। লাভ জিহাদের শিকার খুশবু আহিরওয়ার উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষের পরই মডেলিংয়ের কাজ শুরু করেছিলেন।

গত ১২ নভেম্বর ভারত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ শহরের প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াপাড়া এলাকায় আইনজীবী শেখ মনোয়ার আলমের চেম্বার থেকে সোনিয়া হালদারের(২১) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাভ জিহাদের শিকার সোনিয়া হালদার(২১) কাকদ্বীপের গান্ধীনগর এলাকার বাসিন্দা। সোনিয়া ল- কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলো। সোনিয়া হালদার প্রতিদিন আইনজীবী শেখ মনোয়ার আলমের কাছে প্র্যাকটিসের জন্য যেতেন। সেখানে আইনজীবী শেখ মনোয়ার আলমের লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে।
এই ধরনের শত শত ঘটনা রয়েছে। এখানে সবগুলো মেয়েই শিক্ষিত।
লাভ জিহাদের শিকার এই মেয়েগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকলেও লাভ জিহাদ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় হিন্দু মেয়ে গুলো সহজেই এরা লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়েছে।
লাভ জিহাদ প্রতিরোধ করা যেতে পারে একমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধি করে। তাই লাভ জিহাদ প্রতিরোধে এখনই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দ্রুত ক্যাম্পেইন এবং লিফলেট বিতরণ করা প্রয়োজন।
সম্পাদকীয়