
জুয়েলারি ব্যবসায়ী প্রান্তোষ কর্মকার (৪২) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।
২রা ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নরসিংদী জেলা রায়পুর উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের দিঘলিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জুয়েলারি ব্যবসায়ী প্রান্তোষ কর্মকার (৪২) একই এলাকার সাধন সরকারের ছেলে।
জানা যায়, প্রান্তোষকে রাতের খাবারের পর কয়েকজন মুখোশধারী ব্যক্তি লেনদেনের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা বিদ্যালয়ের পাশে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে দ্রুত উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে পৌঁছানোর পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী স্বর্ণলতা কর্মকার বলেন, কয়েক দিন ধরে কিছু লোকের সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিরোধ চলছিল। তারা প্রান্তোষকে নানা সময়ে হুমকি দিত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পরিকল্পিতভাবেই তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন রয়েছে।’
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, বাঁশগাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কারা এবং কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের পৃথক টিম মাঠে নেমেছে।