১৪ আগষ্ট: বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস

১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ভাগ হয়েছিল ভারতবর্ষ।

মহম্মদ আলি জিন্নার দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ দ্বিখণ্ডিত হল। আসলে দ্বিখণ্ডিত নয়, ত্রিখণ্ডিত। একদিকে পশ্চিম পাকিস্তান, অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তান। যে মানুষটা জানত, যেখানে তাঁর ঘর, বড় হয়ে ওঠা, আত্মীয়স্বজন-কাছের মানুষ সবাই যেখানে মিলেমিশে থাকে সেটাই তাঁর দেশ।

মুসলিম জিহাদিদের সিদ্ধান্তে হঠাৎই সেই দেশটা একদিন হয়ে যায় পরদেশ। সে জানতে পারে তার ধর্মের আর তার লোকজনের দেশ সেটা নয়। তার দেশ কাঁটাতারের ওপারে। নিজের ঘর, স্বজন সব ছেড়ে চলে যেতে হবে। আর নতুন দেশে তার পরিচয় হবে শরণার্থী। এর পরবর্তী ইতিহাস সকলেরই জানা। কিন্তু দেশভাগের ফলে অসংখ্য মানুষকে যে ক্ষতি মুখ বুজে মেনে নিতে হয়েছে তা অপূরণীয়।

২০২১ সাল থেকে ভারতে পালিত হচ্ছে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৪ আগষ্ট দিনটি পালনের ঘোষণা করেন। দেশভাগের সময় যাঁরা নিহত হয়েছেন, দেশভাগের সময় যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের স্মরণ করে এই দিনটি।

১৪ আগস্ট ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস’ উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘ভারত আজ দেশভাগের বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস পালন করছে। ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়ে অসংখ্য মানুষের অসহ্য দুর্ভোগ, যন্ত্রণা ও বিপর্যয়কে স্মরণ করার দিন। আজ সেই সকল মানুষের অদম্য মানসিক শক্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন, যাঁরা সেই অকল্পনীয় দুঃখের মধ্যেও নতুন করে জীবন শুরু করার সাহস পেয়েছিলেন।

আরো লিখেছেন, অনেকেই সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে এসে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তাঁদের জীবনের গল্প আমাদের সামনে মানবিক সহিষ্ণুতা ও সাহসের উদাহরণ। এই দিনে আমরা শুধু সেই অতীতকে স্মরণ করি না, বরং ভবিষ্যতের প্রতি দায়িত্ব নিয়ে শান্তি রক্ষা, পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং আমাদের বিবিধ সংস্কৃতির বন্ধনকে আরও মজবুত করার জন্য এগিয়ে যাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *