দরগামন্দির ও চারঘাটের হিন্দুরা: তপন ঘোষ

তপন ঘোষ: আমরা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছি, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে হিন্দুর উপর মুসলমানের অত্যাচার চলছে, হিন্দুরা মান সম্মান নিয়ে থাকতে পারছে না। বহু স্থানে পাকিস্তানের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই আওয়াজ সকলে শুনতে পাচ্ছে না। ফলে এর বিরুদ্ধে সমাজে কোন প্রতিবাদের স্বর ফুটছে না। কারণ, যাদের উপর অত্যাচার হয়নি, তারা অনুভব করতে পারছে না, বিশ্বাস করতে পারছে না এই অত্যাচারের কথা।

উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় বাংলাদেশ সীমার লাগোয়া স্বরূপনগর ব্লকে আছে চারঘাট অঞ্চল। এই অঞ্চলেই একটি গ্রাম বা পাড়ার নাম চারঘাট দরগাপাড়া। এখানে একটি মন্দির আছে। তার নাম দরগামন্দির। এখানে কোন এক পীরের দরগা আছে। সেই দরগার গায়ে লাগানো এই মন্দির। তাই এর নাম দরগামন্দির। এটুকু শুনেই অনেকে বলবেন – সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কী অপূর্ব নিদর্শন! মুসলিমরা ওই দরগায় যায়, আর হিন্দুরা মন্দিরে যায়। কিন্তু এই দরগা, মন্দির সবই অবস্থিত হিন্দুদের একটি ৫৪ বিঘা ১৭ শতক দেবোত্তর সম্পত্তির উপর। ঠাকুরবর কামদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম এই দেবোত্তর সম্পত্তি ভূমি আধিকারিকের দপ্তরে রেকর্ড আছে।

এই ৫৪ বিঘা ১৭ শতক সম্পত্তির উপর উক্ত দরগামন্দির ছাড়াও আছে আম, জাম ও বিরাট বাঁশ বাগান। আর আছে একটি আড়াই-তিন বিঘার ছোট খেলার মাঠ, যাতে হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের ছেলেরাই খেলাধূলা করে। এছাড়া এই খেলার মাঠে বৎসরে কয়েকবার হিন্দু ও মুসলমানের ধর্মীয় অনুষ্ঠানও হয়।

তাহলে অসুবিধা কোথায়? নাঃ কোথাও কোন অসুবিধা নেই। শুধু ওই যে ফল ও বিরাট বাঁশবাগান – ওগুলো ভোগ করে শেখ মোবাসের হোসেন; ওরফে লালা মিঞা। আগে সিপিএম করত। এখন? বুঝতেই পারছেন। পরিবর্তনের হাওয়া। তাই ঠিক বোঝা যায় না লাল মিঞা এখন কোন পার্টি করে। তবে স্থানীয় হিন্দুরা বলে, লাল মিঞা নাকি পাক্কা মৌলবাদী। সে যে এই বিরাট দেবোত্তর সম্পত্তির বাগান ভোগ করছে তার কোন কাগজ আছে বা লিগাল রাইট আছে? ছিঃ! ওকথা জিজ্ঞাসা করতে আছে? সংখ্যালঘু ভাই না! তার লিগাল রাইটের কথা যে জিজ্ঞাসা করে সে নিশ্চয় সাম্প্রদায়িক। যাক, লাল মিঞা শুধু ওই বাগানই ভোগ করে না। উক্ত দেবোত্তর সম্পত্তির উপর সে ১১-১২ ঘর জাতভাইকেও বসিয়েছে। স্বধর্মে নিষ্ঠা ও স্বজাতি প্রীতি লাল মিঞার যথেষ্ট।

এই গল্পে লাল মিঞা ছাড়াও আরও অনের পাত্রপাত্রী আছে। চারবছর আগে এই স্বরূপনগর থানায় ও.সি (Officer in Charge) ছিলেন জুলফিকার মোল্লা, অঞ্চল প্রধান ছিলেন সিপিএমের জাহানারা বেগম এবং ব্লক সমিতির সভাপতি ছিলেন রাজীব মন্ডল। পাঠক, তাড়াহুড়ো করবেন না। শ্রীযুক্ত রাজীব মন্ডলও সংখ্যালঘু ভাই। তাঁর পিতার নাম জিয়াদ মন্ডল। এই ক’টি পাত্রপাত্রী নিয়েই গল্পটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাক। চারবছর আগে পবিত্র সংখ্যালঘু ভাইরা ওই বাগানের গাছ কাটছিল। আর তারই সঙ্গে তারা ওই দরগা মন্দিরের পাশে ভিত খুঁড়ছিল একটা মসজিদ করবে বলে। ওই স্থানটিও এই দেবোত্তর সম্পত্তির উপরেই। এই গ্রামে হিন্দুদের মধ্যে বেশ কিছু বাগদি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস। এরা বেশী লেখাপড়া শেখেনি। তাই পুরো সেকুলার হতে পারেনি। তারা গিয়ে বাধা দিল। বলল, হিন্দুর দেবোত্তর জায়গার উপর কার অনুমতি নিয়ে তোরা মসজিদ বানাচ্ছিস? বেচারা এই অশিক্ষিত হিন্দুরা জানে না যে স্বয়ং খোদাতালা ওদেরকে অনুমতি দিয়ে রেখেছেন গোটা দুনিয়াটাকে দার-উল্-ইসলাম, অর্থাৎ ইসলামের রাজ্য বানানোর। আর দেবোত্তর সম্পত্তি! আল্লা ছাড়া আর কোন দেবতা আছে নাকি? আল্লা ছাড়া অন্য কোন দেবতাকে যে মানে, সে তো অংশীবাদী। সে তো পাপিষ্ঠ। তাকে তো আল্লা জাহান্নমে পাঠাবেন। এসব না জানার ফলে ওই গ্রামবাসী হিন্দুরা বাধা দেওয়ার একটু চেষ্টা করেছিল। তার উপর ওই গাছ কাটায় বাধা দেওয়া। সুতরাং নিশ্চয় ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত পড়ল। এই ধর্মনিরপেক্ষতাকে রক্ষার পবিত্র কর্তব্য গত ৩২ বছর ধরে তো এই রাজ্যে সিপিএম করে আসছে। এদের ২৪ পরগণার দুই জেলার সমস্ত নেতারা পূর্ব পাকিস্তান থেকে এপার বাংলায় চলে এসেছিলেন। কেন এসেছিলেন নিশ্চয়ই জানেন পাঠক। পূর্ব পাকিস্তান হওয়ার পর এই ছিপিএম নেতারা বুঝতে পারলেন যে ওখানে ধর্মনিরপেক্ষতা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছে। এই পশ্চিমবাংলায় ধর্মনিরপেক্ষতার বড়ই অভাব। তাই এপার বাংলায় ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার জন্য ৪৭ সালের পরে তাড়াতাড়ি করে এই বাংলায় চলে এসে ওই নেতারা এই মহান কাজে লেগে গিয়েছেন।

এই ছেকুলার ছিপিএম-দের হাতেই রাজ্যের ক্ষমতা। তার উপর স্বরূপনগর থানার ওসি সংখ্যালঘু ভাই। অঞ্চল প্রধান, সমিতি সভাপতি- তাঁরাও তাই। এ যেন এ্যহস্পর্শ যোগ! এ যেন এক রাশিতে চার নক্ষত্রের সমাহার। সুতরাং মাহেন্দ্রক্ষণ বৃথা গেল না। ওই গাছ কাটায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে জুলফিকার মোল্লা সাহেব ৭ জন হিন্দুর নামে ক্রিমিনাল কেস্ দিলেন। গ্রেপ্তার করলেন না। শুধু তাড়িয়ে বেড়ালেন। গ্রেফতার করলে তো আসল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যাবে। ওদেরকে জেলে পাঠানো তো উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য তো অন্য কিছু। তাই সাতজনের নামে কেস্ দিয়ে রাতে হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি হানা দেওয়া। পুরুষমানুষদের গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো। ওই তাড়া খেয়ে গোটা পঁচিশেক ছেলে গ্রামছাড়া হল। হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হল। ১৪ দিন পর তারা কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গ্রামে ফিরল। আর ওই ১৫ দিনের মধ্যেই হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তির উপর ওই মসজিদটা তৈরি হয়ে গেল এবং মাইকও লেগে গেল। মহান ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা হল। আর ওই মন্দিরের চাবি চলে গেল সংখ্যালঘু ভাইদের হাতে। হিন্দু মায়েরা পূজা দিতে বা সন্ধ্যাপ্রদীপ দিতে ওদের কাছে হাত পেতে অনুনয় বিনয় করে তবে চাবি পায়। আহা, ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য এটুকু করবে না!

তারপর বছর চারেক গেল দুঃখে সুখে কেটে। ছেলেরা মাঠে বল খেলে। এখন মসজিদটা নতুন তৈরি হওয়ায় মসজিদের গায়ে বল লাগে। সংখ্যালঘু ভাইদের প্রাণে ব্যথা লাগে। আর রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষতা ওই বলের আঘাতে কাঁচের বাসনের মত ঝঝন্ করে। ছোট ছেলেগুলো বোঝে না এসব কথা। তাই তারা বল খেলে। সুতরাং সংখ্যালঘু ভাইদের কথামতোই স্থির হয় যে খেলার মাঠে মসজিদের দিকটায় নেট বা জাল লাগিয়ে দিতে হবে যাতে মসজিদে বল না লাগে। অবশ্য জাল লাগানোর দায়িত্ব, মসজিদকে রক্ষা করার দায়িত্ব সংখ্যালঘু ভাইদের নয়। ওটা হিন্দুদেরকেই লাগাতে হবে। সেইমত গরীব হিন্দুরা পসরা দিয়ে জাল কিনে লাগিয়ে দিল। ছেলেরা খেলে। বল আর মসজিদের গায়ে লাগে না।

গত ৯ই জুলাই, পবিত্র শুক্রবার, মন্টু ভাই আসে নামাজ পড়তে। মন্টু ভাই-এর ভাল নাম আলি হোসেন। আমাদের সেই প্রভাবশালী লাল মিঞার ভাই। মন্টু দেখে মসজিদ জাল দিয়ে ঘেরা। তার মনে হল, যেন পবিত্র মসজিদ জালে বদ্ধ। নেটটা কারা লাগিয়েছে, কেন লাগিয়েছে, কাদের কথায় লাগিয়েছে- এসব খোঁজ নেওয়ার সে দরকার মনে করল না। সে ধিক্কার দিল- কে রে মসজিদের সামনে জাল লাগিয়েছ? তারপর সে অপেক্ষা না করেই নেটটা টেনে ছিঁড়ে দিল। ছোট ছেলেরা ফ্যাল্ ফ্যাল্ করে তাকিয়ে থাকল।

তাদের বাপ-কাকারা মাঠ-ঘাটের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে জানতে পারল যে লাল মিঞার ভাই মন্টু নেট ছিঁড়ে দিয়েছে। নেটের দাম বড় কম নয়। এই গরীব মানুষগুলোর গায়ে লাগল। তারা ক’জন দলবেঁধে বিকালে মন্টুর দোকানে গেল। মন্টুকে তারা জিজ্ঞাসা করল যে, মুসলমানদের কথাতেই তো নেট লাগানো হয়েছে। সেই নেট মন্টু ছিঁড়ে দিল কেন? মন্টু বলল, যা করেছি বেশ করেছি। তোদের কী করার আছে? তর্কাতর্কি লেগে গেল। মন্টু দোকান থেকে বেরিয়ে এল। সামান্য ধাক্কাধাক্কি হল। লাইট পোস্টে লেগে মন্টুর চোখের উপর ভ্রুর কাছে সামান্য, অতি সামান্য একটু কেটে গেল। সেটাকে কাটাও বলা যায় না, ছড়ে যাওয়া। মন্টু ‘সবাইকে দেখে নেব’ হুমকি দিতে দিতে স্থানীয় গ্রামীণ হেলথ্ সেন্টারে গেল ইনজুরি রিপোর্ট লেখাতে। ডাক্তারবাবু বললেন, কিছুই হয়নি, কী রিপোর্ট লিখব? মন্টু আর একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেল। সেখানকার ডাক্তারও ইনজুরি রিপোর্ট দিলেন না। এইবার চিত্রনাট্যে আবির্ভূত হলেন আর এক মহান চরিত্র। ইনি সংখ্যালঘু ভাই নন। ইনি হিন্দু নামধারী, স্থানীয় লোকেরা যাকে পা-চাটা দালাল বলে। এর নাম প্রভাত পরামাণিক, ওরফে মেজবাবু। ইনি স্বরূপনগর থানার অধীনে চারঘাট ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত অফিসার। এক বছর হল এই দায়িত্বে এসেছেন। ইনি চারঘাট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ধমক দিয়ে মন্টু ওরফে আলি হোসেনের ইনজুরি রিপোর্ট লেখাতে বাধ্য করলেন।

পুলিশ নামের মহান নিদের্শন এই প্রভাত পরামাণিক এইবার চারঘাটে ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার মহান দায়িত্বে নেমে পড়লেন। আলি ভাইয়ের ভ্রু-র কাছে ছড়ে গিয়েছে। তাও আবার লাইট পোস্টে লেগে! এতবড় অপরাধ! সুতরাং প্রভাত পরামাণিক ১১ জন হিন্দুর নামে কেস্ দিলেন। ধারা ৪৪৭/৪২৭/৩২৫/৫০৬/৩৪। জামিন অযোগ্য ধারা। আসামীরা হল – বিজয় দাস, রাধাপদ দাস, সুশান্ত মন্ডল, রণজিৎ বাইন, ভুট্টো হাজরা, বিশ্বজিৎ বাইন, অভিজিৎ বাইন, ডাক্তার হাজরা, দীপক মণ্ডল, গোঁসাই বাইন ও মুক্তি বাইন।

শুরু হয়ে গেল প্রভাত পরামাণিক অ্যাকশন। অবশ্য স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে লাল মিঞার কাছ থেকে এই কাজের জন্য তিনি ৫০ হাজার টাকা সেলামী পেয়েছেন। শুরু হয়ে গেল প্রতি রাত্রে হিন্দু পাড়ায় পুলিশের গাড়ি নিয়ে হানা। হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার ও ধমকানি। প্রভাত পরামাণিকের অকথ্য গালাগালি। ছেলেরা পালালো। মেয়েরা বাধা দিল। জোরালো বাধা দিল। সুতরাং সেদিন পরামাণিক মুখ ব্যাজার করে ফিরে গেলেন। রিপোর্ট গেল থানায়। ইতিমধ্যে স্বরূপনগর থানায় বড়বাবু বদল হয়েছেন। জুলফিকার মোল্লার পরিবর্তে এসেছেন ওয়াজেদ আলি। গত চৈত্র সংক্রান্তির হিন্দুদের মেলার মঞ্চ এই আলি সাহেবই জোর করে ভেঙে দেন।
সুতরাং পরামাণিকের সহযোগিতার অভাব হল না। পরেরদিন তিন গাড়ি মহিলা পুলিশ নিয়ে পরামাণিক হিন্দু পাড়ায় এসে চোটপাট করতে লাগলেন। গ্রাম পুরুষশূন্য। হিন্দু মেয়েদের শুনতে হচ্ছে একদিকে পুলিশের গালাগালি, অন্যদিকে সংখ্যালঘু ভাইদের বহুরকমের মন্তব্য, উক্তি ও কটূক্তি। এই উক্তিগুলি শুধু নোংরা শব্দের গালাগালি নয়। এই উক্তি ও মন্তব্যগুলিতে তারা তাদের বহু প্রাণের ইচ্ছের কথা প্রকাশ করছে। ওপার বাংলায় সেই ইচ্ছাগুলো তো তারা পূরণ করেছে। এপার বাংলায়ও ধানতলা বানতলা বহু জায়গায় তার ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে। চারঘাটেও তাদের সেই ইচ্ছাগুলোকে তারা পূরণ করতে চায়।

এই লেখা পর্যন্ত একই পরিস্থিতি। গ্রামের সব হিন্দু পুরুষরা পলাতক, গ্রামছাড়া। সবাই গরীব, দিন আনা দিন খাওয়া। তাই তাদের বাড়ির মেয়েরা নেভানো উনুনে খালি হাঁড়ি চড়িয়ে রেখে তাদের বাচ্চাদের মুখের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। পান্তা না পেয়ে তাদের বুকের দুধও যে শুকিয়ে গেছে।

তারা সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি সকলের দরজায় দরজায় ঘুরেছে। ঐ অঞ্চলে বিজেপিরও দুজন পঞ্চায়েত সদস্য আছে। কোথাও তারা একটু সান্ত্বনা বাক্য শুনতে পায়নি। সবাই যে বড় ব্যস্ত মহান ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাটা উঁচু করে ধরে রাখতে। তাই ওই চারঘাটের গরীব হিন্দুরা খুঁজতে খুঁজতে এসেছে হিন্দু সংহতির দপ্তরে। কিন্তু হিন্দু সংহতি কি পারবে এদের বাঁচাতে? ওই মায়েদের শুকনো বুকে একটু দুধ এনে দিতে? হে ভগবান, আর কেউ তো করবে না। এদের জন্য কিছু করতে গেলে, কিছু বলতে গেলে যে মিঞা ভাইদের বিরুদ্ধে বলতে হবে। তাতে যে গায়ে সাম্প্রদায়িক তা লেগে যাবে। একমাত্র হিন্দু সংহতিই তো আছে নিজের গায়ে সাম্প্রদায়িক তা নেওয়ার জন্য। তাই তো হিন্দুরা যেখানে অত্যাচারিত বিপন্ন হচ্ছে, এই সংহতির কাছে আসছে। হে ভগবান, হিন্দুর এই দুর্দশা, এই অপমান আর দেখা যায় না। তাই আমাদের হয় শক্তি দাও, নাহয় আমাদের শেষ করে দাও।

“প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতার অনেক উপরে আদর্শ
ও লক্ষ্যকে স্থান দিতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত প্রাতিষ্ঠানিক
দায়বদ্ধতা অনেক সময় আদর্শবান মানুষকেও
অধর্মের পথে পরিচালিত করে”

লিখেছেন – তপন ঘোষ
লেখাটি নেওয়া হয়েছে-
আমার দেশ আমার ধর্ম : তপন ঘোষের রচনা সংগ্রহ দ্বিতীয় খন্ড থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *