জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। শেষ মুহুর্তে পুলিশ এসে বন্ধ করে দিয়েছে অনুষ্ঠান।

এই সম্মেলনে বাংলাদেশের গত ৫৪ বছরের ইতিহাসের সাম্প্রদায়িক হামলার ওপর প্রামাণ্যচিত্র দেখানোর কথা ছিল।

২২ আগষ্ট শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানী ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন ২০২৫: পাহাড় থেকে সমতল, অস্তিত্ব রক্ষায় অটল’ শিরোনামে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন এই আয়োজন করেছিলো। কিন্তু ‘পুলিশি বাধার কারণে’ তা করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আয়োজকরা।

পরে পুলিশ তাদেরকে সম্মেলন করতে ‘না দেওয়ায়’ তারা খামারবাড়ি সড়কের ফুটপাতে কিছুক্ষণ অবস্থান করে ফিরে যান।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, অনিবার্য কারণবশত এই সম্মেলন স্থগিত করতে হয়েছে। সম্মেলনের পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি এ–ও বলেন, এভাবে কর্মসূচি থামানো যাবে না।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘একটি ইনডোর প্রোগ্রাম! শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে বাধা। বাংলাদেশে তো যা সংখ্যালঘু হামলা হয়, সবটাই রাজনৈতিক। তাহলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্মেলনকে এত ভয় পাওয়ার কি আছে? আপনারাই তো বলেন, ৮ শতাংশ এক না। তাহলে সবাই যখন এক সাথে আসতেছে, তাতে বাধা কেন? ৫৪ বছরের ইতিহাসের সাম্প্রদায়িক হামলার প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে, তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের এত ভয় কেন?’

পুলিশ জানিয়েছে, মহানগর এলাকায় এ ধরনের আয়োজনের জন্য পুলিশ কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়, যা আয়োজকরা নেননি। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, ‘বিশৃঙ্খলার আশঙ্কার’ পাশাপাশি পুলিশের পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় ‘স্বল্প সময়ের’ মধ্যে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরও জানান, এ ধরনের আয়োজনের জন্য কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে আবেদন জমা দিতে হয়। তিনি অভিযোগ করেন, আয়োজকরা হলরুম ভাড়ার কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি।

‘সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের’ ব্যানারে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজকদের একজন সুব্রত বল্লভ বলেন, তারা সম্মেলনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এবং বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার বরাবর অনুমতির আবেদনও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি এবং যারা ভেতরে ঢুকেছিল তাদেরও বের করে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী সারা দেশ থেকে এসেছিলেন, কিন্তু তারা ফিরে যেতে বাধ্য হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *