
মুসলিম মেয়ের ভালোবাসার ফাঁদে পরে হিন্দু ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রায় ৪ মাস পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে জয়ন্ত দাস জয়(২২)।
৩০ আগষ্ট শনিবার দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে জয়ন্ত দাস জয়। জয়ন্ত দাস জয় পটুয়াখালী জেলা বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের কাছিপাড়া গ্রামের কেশব চন্দ্র দাসের ছেলে(২২)।
নিহত জয়ন্ত দাস জয় চলতি বছরের ৮ মে ঢাকার ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামার মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নতুন নাম রাখেন আলভী আহম্মেদ জয়।
হিন্দু যুবক ধর্মান্তরিত হওয়ার পর রাজধানী ঢাকার উত্তরা দক্ষিনখান এলাকায় একটি আধাপাকা টিনস্টে ঘরের একটি রুমে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কলেজে অর্নাসে পড়াশুনা করতো। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে তিনি ওই টিনসেট রুমের কাঠের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরের দিন রবিবার সকালে ঘরের মালিক নিহত যুবকের সাঁড়াশদ্ধ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং আইনী প্রক্রিয়া শেষে তার বড় ভাই বাপ্পীর কাছে লাশ হস্তান্ত করে।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, আলভী কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের একটি মুসলিম মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো। ওই মেয়েকে বিয়ে করার জন্যই তিনি ধর্মান্তরিত হন। কিন্তু হিন্দু যুবক ধর্মন্তরিত হওয়ার কিছু দিন পর মেয়েটি তার সাথে যোগযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে তিনি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেন। পরে নিরুপায় হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত জয়ন্ত দাস জয়ের (আলভী আহম্মেদ জয়) লাশ মুসলিম রীতি অনুযায়ি দাফন করা হবে না কি হিন্দু রীতি অনুযায়ি দাহ করা হবে তা নিয়ে চলছে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজন চলছে। উত্তেজনা তৈরী হওয়ার কারণ যেহেতু পুলিশ বড় ভাই বাপ্পীর কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে তাই।