হিন্দু নেতা বিজন কুমার দে’র মরদেহ উদ্ধার।

ছবি: নিহত বিজন কুমার দে।

পাইথালী দুর্গা মন্দির সমিতির সভাপতি এবং চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী বিজন কুমার দে’র (৬০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা আশাশুনি উপজেলার কুন্দুড়িয়া এলাকার রাস্তার পাশের একটি বাগান থেকে বিজন কুমার দে’র মরদেহ উদ্ধার উদ্ধার করে আশাশুনি থানা পুলিশ।

বুধহাটা পুলিশি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকালে কুন্দুড়িয়া এলাকার রাস্তার পাশের বাগান থেকে লাল গেঞ্জি ও নীল প্যান্ট পরিহিত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা তার পরিচয় জানান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন বলেন, বিজন কুমার দে বুধহাটা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান পাইথালী সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি। তিনি দুই সন্তানের পিতা। তার এই মরদেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকার ঘটনাটি বেদনাদায়ক।

বিজন কুমার দের বড় ছেলে প্রণব দে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাবা বাড়ি থেকে বাজারে যান, তারপর আর ফিরে আসেননি। রাতে না ফেরায় দুশ্চিন্তায় ছিল পরিবারের সবাই। পরে সকালে মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবর পান, মৃত্যুরহস্য দ্রুত উদঘাটনের জন্য দাবি জানান তিনি।

নিহত বিজন কুমার দে’র ভাই স্কুল শিক্ষক রঘুনাথ দে বলেন, তার ভাইয়ের স্ত্রী আগেই মারা যাওয়ায় তিনি বাড়িতে একা এক ঘরে থাকতেন। তার পুত্রবধূ রাতে ঘরে খাবার রেখে আসতো। তিনি বাড়ি এসে খেয়ে নিতেন। কিন্তু বুধবার সকালে ঘরে গিয়ে দেখা যায় খাবার যেভাবে রাখা ছিল সেভাবেই রয়েছে। তিনি রাতে বাড়িতে ফেরেননি। পরে লোকজনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী কুন্দড়িয়া চুমুরিয়া গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকার খবর আসে।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *