
দক্ষিণা কালী মন্দিরের দুই একর ৫৪ শতক জমি দখল করেছেন তাইজুদ্দিন। জমি দখল করে একই গ্রামের আহমেদ মিয়ার কাছে প্রতি ঘনফুট মাটি ৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন তাইজুদ্দিন। অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সেই মাটি উত্তোলন করছেন জসীম উদ্দীন।
জমি দখলের ঘটনাটি ঘটছে কুমিল্লা জেলা মুরাদনগন উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বি-চাপিতলা বিলের ব্রাহ্মণ চাপিতলা মৌজার দক্ষিণা কালী মন্দিরে।
জানাযায়, বি-চাপিতলা গ্রামের তাইজুদ্দিন কালী মন্দিরের দুই একর ৫৪ শতক জমি দখল করে একই গ্রামের আহমেদ মিয়ার কাছে প্রতি ঘনফুট মাটি ৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সেই মাটি উত্তোলন করছেন জসীম উদ্দীন।
ড্রেজার ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীন বলেন, ‘আমার দায়িত্ব ছিল ওই জমি থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে দেওয়া। এখন শুনলাম ওই জমিটা নাকি কালী মন্দিরের, তাই ভাবছি, ড্রেজার বন্ধ করে দেব।’
আহমেদ মিয়ার বলেন, জায়গাটি কালী মন্দিরের। তাইজুদ্দিনের কাছ থেকে প্রতি ঘনফুট মাটি ৫ টাকা দরে কিনে নিয়েছেন তিনি। তাইজুদ্দিন বলেছেন এটি তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি। এখন শোনা যাচ্ছে এটি কালী মন্দিরের জায়গা। তাই আপাতত মাটি উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত তাইজুদ্দিনের দাবি, প্রায় ৪০ বছর আগে মন্দিরের স্বত্বাধিকারীদের কাছ থেকে জায়গাটি ক্রয় করেছেন তাঁর বাবা। ভুলবশত তাদের নামে রেকর্ড হয়নি। বাংলাদেশ জরিপে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে দক্ষিণা কালী মন্দিরের নামে।
যদি জমি ক্রয়ের দলিল থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে খতিয়ানের রেকর্ড সংশোধন ছাড়া জমির মাটি আপনি বিক্রি করতে পারেন? জবাবে অভিযুক্ত তাইজুদ্দিন বলেন, ‘জমি দখল করে রেখেছি বহুদিন হয়। এতদিন কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। যখনই জমি থেকে মাটি বিক্রি করেছি, তখনই অনেকের অনেক প্রশ্ন। সবার যেহেতু এতই সমস্যা, তাই আমি মাটি বিক্রয় বন্ধ করে দেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষিজমি থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। আর এটি তো কালী মন্দিরের জায়গা। এখান থেকে কোনো উপায়ে মাটি উত্তোলনের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিচ্ছি, অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’