
সাঙ্গু নদ থেকে অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যা (৩৬) নামে এক আদিবাসী যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবান জেলা সদরের ক্যচিংঘাটা এলাকার সাঙ্গু নদ থেকে আদিবাসী যুবকের মরদেহ টি উদ্ধার করা হয়।
নিহত অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যা রোয়াংছড়ি উপজেলার টমটমচালক। তিনি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের নাতিন ঝিরিপাড়ার মৃত ধল্যা তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে।
জানা যায়, রাতে বাড়ি না ফেরায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে অমন্তকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাঁর পরিবার। একপর্যায়ে ভাড়াটে ইউপি সদস্য মেদুক মারমার বাড়ির পেছনে রাস্তার মাঝে অনেক রক্ত দেখতে পান তাঁরা। রাস্তার নিচে খালের কিনারা বালুর চরে মানুষ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন চোখে পড়ে তাঁদের। এ ছাড়া অমন্তের ব্যবহৃত পাহাড়ি ব্যাগ, তাঁর মোবাইল ফোন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে অভিযান চালায়।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা দিকে বান্দরবান সদরের ক্যচিংঘাটা এলাকার সাঙ্গু নদ থেকে তাঁর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মা আইল্যাবি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আমার অনুমান (ধারণা) ঠিক হয়েছে। বালুর চরে টেনে নেওয়ার চিহ্ন ছিল, সেই চিহ্ন দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি, আমার ছেলেকে হত্যা করে নদে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানার এসআই শুভ্রমুকুল বলেন, ‘সাঙ্গু নদ থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।’