মুক্তিপণের পর উদ্ধার আদিবাসী শিক্ষার্থী

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আদিবাসী শিক্ষার্থী কুমলাও আরেং গত ১৩ আগষ্ট বুধবার দুপুরে অপহরণের শিকার হন।

আদিবাসী শিক্ষার্থী কুমলাও আরেং অপহরণের শিকার হন ময়মনসিংহ জেলা ত্রিশাল উপজেলা বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে।

পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পর বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থী কুমলাও আরেং কে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ত্রিশাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

আদিবাসী শিক্ষার্থী কুমলাও আরেং ময়মনসিংহ জেলা ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘোষগাঁও ইউনিয়নের অপূর্ব মানখিনের ছেলে।

শ্রাবণ চিছাম বলেন, জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর ওই শিক্ষার্থী নিজেকে একটি ভবনের ছাদে দেখতে পান এবং দুষ্কৃতিকারীরা তার কাছে প্রথমে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় তাকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। পারিবারিক অবস্থা জানা পর তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। উপায় না পেয়ে শিক্ষার্থী টাকার জন্য বাড়িতে ফোন দেয়। পরে তার বাবা ও মামা আলাদাভাবে ২০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান।

অপহরণকারীরা টাকা পাওয়ার পর বিকেল ৫টার দিকে তাকে চোখ বেধে একটি অটোরিকশায় তুলে ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ের ত্রিশাল এলাকায় ছেড়ে দেয়।

​অপহরণের ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসের আশেপাশে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।

ত্রিশাল থানার এসআই দেবলাল সরকার বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *