
পিরোজপুর জেলা নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলায় কৃষ্ণ কান্ত দাস কে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকার জমির দলিল রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে বিএনপির দুই নেতা।
গত ১৮ আগষ্ট সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী কৃষ্ণ কান্ত দাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নেছারাবাদ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বসে সাবকবলা দলিল করে নেওয়া হয়। তবে একটি টাকাও পাননি বলে দাবি জমির মালিক কৃষ্ণ কান্ত দাসের।
ভুক্তভোগী কৃষ্ণ কান্ত দাস স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির পরিচালক। অভিযুক্ত রুহুল আমীন স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং কামরুল হাসান ওই ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য।
মঙ্গলবার কৃষ্ণ কান্ত দাস বলেন, স্বরূপকাঠিতে ‘সেবক হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন সোসাইটি’ নামে তাঁর একটি সমবায় সমিতি রয়েছে। গত মার্চে সমিতিতে ২৩ লাখ টাকা আমানত রেখেছিলেন কামরুল হাসান। বিনিময়ে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের মুনাফা নিতেন। হঠাৎ পাওনা টাকা একবারে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন কামরুল। তিনি রুহুল আমীনকে নিয়ে এসে টাকার বিপরীতে উপজেলা সদরে তাঁর (কৃষ্ণ) চার শতক জমির প্লট দাবি করেন। পরে ৫০ লাখ টাকা দরদামে তারা জমিটি নিতে চাইলে নিরুপায় হয়ে রাজি হয়ে যান তিনি। সোমবার দুপুরে তাকে নেছারাবাদ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যান তারা। জোর করে তাঁর স্বাক্ষর নিয়ে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। তবে একটি টাকাও দেননি।
অভিযোগের বিষয়ে রুহুল আমীন বলেন, দলিলটি লিখেছেন নেছারাবাদ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মেহেদি মাসুদ। কৃষ্ণ কান্ত দাস দাতা হিসেবে সোমবার একটি দলিল লেখা ও রেজিস্ট্রি হয়েছে। সব নিয়ম মেনেই দলিল করা হয়েছে।