কালীমন্দিরে চারটি প্রতিমা ভাঙচুরের সময় হাতেনাতে মুসলিম যুবক এরফান আলী (১৮)কে আটক করা হয়।
প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে, ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী গ্রামের ডারারপার এলাকায়।
প্রতিমা ভাংচুর করা মুসলিম যুবক এরফান আলী (১৮) নীলফামারী জেলা সৈয়দপুর উপজেলার পোড়ার হাট আবাসন এলাকার মঈন খানের ছেলে।
প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় মন্দির কমিটির সেক্রেটারি বিজয় চন্দ্র রায় নীলফামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবীব জানিয়েছেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলমান।
মুসলিম যুবক এরফান আলীর বাবার দাবি তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এবং তার কবিরাজি চিকিৎসা চলমান রয়েছে। তিনি আরও জানান, এরফান আলী নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করতো।
এই ঘটনার বিষয়ে সংগলশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি চারটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে আটক তরুনের কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়েছে।” তবে মন্দির কমিটির পক্ষে রাতে সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।
নীলফামারী সদর থানার উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবীব জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মন্দির কমিটির সেক্রেটারি বিজয় চন্দ্র রায় বাদী হয়ে নীলফামারী থানায় ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার একটি মামলা (নং-২৮) দায়ের করেছেন। মামলাটি ৪৪৮/২৯৫/৪২৭ ধারায় রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।