সেনাবাহিনী এবং বাঙালিদের হামলায় আহত আদিবাসীদের পরিচয় জানা গেছে।

ছবি: সেনাবাহিনী এবং বাঙালিদের হামলায় আহত আদিবাসী।

খাগড়াছড়িতে আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি। তারেই ধারাবাহিকতায় ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সেনাবাহিনী গুলিতে এবং সেটলার বাঙালিদের হামলায় আহত ১০ জন আদিবাসী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে আহত হওয়া ১ বৃদ্ধাও চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত এই ১১ আদিবাসী বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত ব্যক্তিরা হলেন-
১। কংজসাই মারমা (৩০), গ্রাম-আমতলী, গুইমারা;
২। আথুইপ্রু মারমা (৪৫), গ্রাম-গুইমারা;
৩। ক্যজাই মারমা (২৫), গ্রাম-গুইমারা;
৪। অং মারমা (২৭), গ্রাম-বরইতলী, গুইমারা;
৫। জুয়েল চাকমা (২৭), পথাছড়া, গুইমারা;
৬। ক্যংচাইহ্লা মারমা (৪৫), গ্রাম-গুইমারা;
৭। চিংক্যউ মারমা (২৫), গ্রাম-নতুনপাড়া, গুইমারা;
৮। সাচিংনু মারমা (২৪), গ্রাম-বটতলা, গুইমারা;
৯। অংচিং মারমা (২৩), ঠিকানা-রামসু বাজার;
১০। বিকাশ ত্রিপুরা (২৩), গ্রাম-কুমেন্দ্র কার্বারি পাড়া, গুইমারা।

অপরদিকে, সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে আহত বয়স্ক জুম্ম নারীর নাম আবাইমা মারমা (৭০), গ্রাম-উগলছড়ি, পানছড়ি।

ছবি: আহত আদিবাসীর।
ছবি: আহত আদিবাসীর।

এছাড়াও সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত তিন ব্যক্তির লাশ এখনো খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহত আদিবাসীরা হলেন-
১। আখ্রাউ মারমা (২২), পীং-হাসু মারমা, মাতা-ক্রাসুং মারমা; গ্রাম-চেংগুলি পাড়া, ৫নং ওয়ার্ড, হাফছড়ি ইউনিয়ন, গুইমারা;
২। তেইচিং মারমা (২০), পীং-অলাকাই মারমা, মাতা-দানুপ্রু মারমা, গ্রাম-রামসু বাজার, বটতলা, ৪নং ওয়ার্ড, হাফছড়ি ইউনিয়ন, গুইমারা এবং
৩। আথুইপ্রু মারমা (২১), পীং-থুহ্লাঅং মারমা, মাতা-প্রতিমা মারমা, গ্রাম-দেবলছড়ি, চেয়ারম্যান পাড়া, সিন্দুকছড়ি ইউনিয়ন, বর্তমান ঠিকানা-আমতলী পাড়া, ৫নং ওয়ার্ড, হাফছড়ি ইউনিয়ন, গুইমারা।

আজ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিহতদের পোস্টমর্টেম করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল সকাল থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার ও এর আশেপাশের জুম্ম বসতিতে সেনাবাহিনী, বাঙালি সেটেলার ও বহিরাগত দুস্কৃতিকারীদের কর্তৃক সম্মিলিতভাবে উপর্যুপরি হামলায় ৩ জন হতে ৮ জন জুম্ম নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত ও নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এছাড়া, স্থানীয় জুম্মদের অন্তত ১৫টি বাড়িঘর, ৬০টি দোকানপাট ও ১৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং ৭টি দোকানপাট লুটপাট করা হয় বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *