
গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিরাট (বরট্ট) এলাকায় আদিবাসী সাঁওতালদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ এসেছে ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলাম গং এর বিরুদ্ধে।
গত ১৫ আগষ্ট শুক্রবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ অন্তত ৪জন আদিবাসী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- শ্যামবালা হেমব্রম, সৈলাশ, বিশ্বনাথ ও জয়ন্ত। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ হামলার ঘটনায় ১৭ আগস্ট রবিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অনলাইনে এজাহার দাখিল করেছেন হামলায় শিকার শ্যামবালা হেমব্রম। এজাহারে তিনি ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৮/৯ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেছেন।
এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন- ১। মো. রফিকুল ইসলাম (৪৮), ২। মো. শফিকুল ইসলাম (৪৪), ৩। মো. মেজবাউল ইসলাম (৪০), সকলের পিতা- মো. হাকিম মন্ডল, ৪। মো. হাকিম মন্ডল (৬৫), পিতা- মৃত আজিম উদ্দিন, ৫। মো. গোলাপ (৫০), পিতা- মৃত আব্দুল গণি, সর্ব সাং- ধনিয়াল চাপড়াপাড়া, ৬। মো. রহিম বাদশা (৪৫), পিতা- মৃত আঃ খালেক, ৭। মো. সুমন (১৮), পিতা- আরশ আলী, উভয়ের সাং- বিরাট বরট্ট (নয়াপাড়া), ৮। মো. আঃ মান্নান (৩৮), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ধনিয়াল, ৯। মো. উজ্জল মিয়া (৪০), পিতা- মৃত হাসেন আলী, সাং- বিরাট বরট্ট, ১০। মো. ফুয়াদ সরকার (৩৬), ১১। মো. ফাহাদ সরকার (৩২), উভয়ের পিতা- মৃত আব্দুল বারী সরকার, উভয়ের সাং- চকগোবিন্দ (চাষকপাড়া), ১২। মো. আতাউর রহমান (৪৫), পিতা- করিম উদ্দিন, সাং- বিরাট বরট্ট নয়াপাড়া, ১৩। মো. আতাউর মন্ডল (৫০), ১৪। মো. হবিবর মণ্ডল (৬৫), উভয় পিতা- মৃত কেরু মন্ডল, সাং- বিরাট বরট্ট, ১৫। মো. আঃ রশিদ (৪৫), পিতা- মৃত গনি সরকার, সাং- গোমড়াদীঘি বরট্ট, সকলের থানা- গোবিন্দগঞ্জ, জেলা- গাইবান্ধাসহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে শ্যামবালা হেমব্রম, বিশ্বনাথ, জয়ন্ত, জোয়াস ও মিনতী সরেন সহ তফসিল বর্ণিত জমিতে আমন ধানের চারা লাগানোর সময় মো. রফিকুল ইসলাম গং দেশিয় অস্ত্র সহ এসে আদিবাসী সাঁওতালদের ধানের চারা রোপনে বাধা দেয়। শ্যামবালা হেমব্রম প্রতিবাদ করলে তাকে মেজবাউল ইসলাম মাথায় আঘাত করে। শফিকুল, গোলাপ, রহিম বাদশা ও সুমন এলোপাথারী মারধর করে। রহিম বাদশা অসৎ উদ্দেশ্যে নারীর শাড়ী ব্লাউজ ছিঁড়ে ফেলে লজ্জা শ্লীলতাহানী করে।
এ সময় ডাক-চিৎকারে জোয়াস মূর, ফিলোমিনা হাঁসদা, জুলিয়াস সরেন সহ স্থানীয় অনেকে এগিয়ে আসলে আসামীগণ খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
অভিযুক্ত রফিকুল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এর আগে গত ৩ জানুয়ারি সাঁওতাল নারী ফিলিমোনা হাসদাকে (৫৫) মারধর ও বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফিলিমোনা বিরাট আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দা।