লাভ জিহাদের পরিণতি: মীনু প্রজাপতির মরদেহ উদ্ধার!

মুসলিম যুবক মো. ইরফানের লাভ জিহাদের ফাঁদে পরে বিয়ের ৬মাসের মাথায় স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ করে, আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করে বিউটিশিয়ান মীনু প্রজাপতি। হিন্দু যুবতী মীনু প্রজাপতি এবং মুসলিম যুবক মো. ইরফান লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন।

গত ১৬ আগষ্ট শরিবার রাতে ভারত উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ঝাঁসি জেলা সদর থানার ভগবন্তপুরা এলাকা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় বিউটিশিয়ান মীনু প্রজাপতির(৩৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মীনু প্রজাপতির পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে তার লিভ ইন সঙ্গী মো. ইরফান।

জানাযায়, মীনু প্রজাপতি বিউটি পার্লারে কাজ শিখার সময় পরিচয় হয় মো. ইরফানের সঙ্গে। তখন তাদের বন্ধুত্ব তৈরী হয়। তারপর ২০১২ সালে মীনু প্রজাপতির বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় বিচ্ছেদ করে ভগবন্তপুরায় আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করেন মীনু প্রজাপতি। এই সময় মো. ইরফান এবং মীনু প্রজাপতি দুই জনেই লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু এই সময় মো. ইরফান ছিলেন বিবাহিত। সম্প্রতি মো. ইরফান দ্বিতীয় বিয়ে করলে সম্পর্কে ভাঙন ধরে মীনু প্রজাপতির সাথে।

মীনু প্রজাপতির পরিবার জানিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছিলেন মো. ইরফান, আর তাতেই মানসিক চাপে পড়েন মীনু প্রজাপতি।

মীনু প্রজাপতির ভাই রাকেশ বলেন, মীনু প্রজাপতির মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার পরও তার পা মাটিতে ঠেকানো ছিল। মো. ইরফান পুলিশকে না জানিয়েই মৃতদেহ দাহ করার চেষ্টা করেন। মীনু প্রজাপতিকে খুন করে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে।

ঝাঁসি সদর থানার ইনচার্জ প্রকাশ সিং বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *