ভবেন্দ্র দাস কে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে আবদুল আহাদ।

ছবি: আহত ভবেন্দ্র দাস।

নির্ধারিত সময়ে জমি বিক্রির পুরো টাকা না দেওয়া, অন্যের কাছে জমি বিক্রির করার অভিযোগে ভবেন্দ্র দাস (৫৯) কে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে আবদুল আহাদ গাজী। আবদুল আহাদ গাজী খেশরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

২৯ আগষ্ট শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তালা উপজেলার শ্রীমন্ত কাটি গ্রামের ভবেন্দ্র দাস সাড়ে ৯ শতাংশ জমি বিক্রির জন্য প্রায় তিন মাস আগে একই উপজেলার বালিয়া গ্রামের আবদুল আহাদের সঙ্গে ৬৮ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পুরো টাকা না দেওয়া ভবেন্দ্র দাস অন্য ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রি করে দেয়।

ভবেন্দ্র দাস বলেন, আবদুল আহাদ গাজী নির্ধারিত সময়ে পুরো টাকা না দেওয়ায় তিনি ৭ আগস্ট ওই সাড়ে ৯ শতাংশ জমি দ্বিগুণ মূল্যে বালিয়া গ্রামের হারুন মণ্ডলের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার জানাজানি হলে শুক্রবার সকালে আবদুল আহাদ বাড়িতে ডেকে পাঠান ভবেন্দ্রকে। সকাল সাতটার দিকে তিনি আবদুল আহাদের বাড়িতে গেলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাকে পিছমোড়া করে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। তাকে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বেঁধে রাখা হয়। ভবেনের ভাতিজা স্বপন দাস এসে তার দেনা মেটানোর প্রতিশ্র“তি দেন। সঙ্গে সঙ্গে ১৭ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি ৮ হাজার টাকার জন্য সময় নেওয়া হয় আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

মারধরের কারণে ভবেন্দ্র দাস তার ডান কানে ঠিকমতো শুনতে পারছেন না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল আহাদ গাজী বলেন, ‘ভবেন্দ্র আমার সঙ্গে চুক্তি করেও জমি লিখে দিতে টালবাহানা করছিলেন। পরে গোপনে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে তাকে ডাকা হয়। তবে ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় তিনিও ভুল করেছেন, আমিও ভুল করেছি। আমার অন্যায় হয়েছে।’

তালা থানার খেশরা পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক মনজুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *