
কংচাইঞো মারমা (৩১) নামে এক আদিবাসী যুবক কে গুলি করে হত্যা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
১৫ আগষ্ট শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শান্তিনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আদিবাসী যুবক কংচাইঞো মারমা কে “মগ পার্টির” নেতা বলা হলেও এখন নিশ্চিত হওয়া যায় নাই সত্যি “মগ পার্টির” সদস্য কি না।
নিহত আদিবাসী যুবক কংচাইঞো মারমা খাগড়াছড়ি জেলা গুইমারা উপজেলাধীন সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের গরিয়াছড়ির অংগ্যজাই মারমার ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি শহরের শান্তিনগর এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় “গোলাগুলি”তে কংসাইঞো মারমা নিহত হন। তবে শান্তিনগরের মতো জায়গায় কোথা থেকে সশস্ত্র ‘মগপার্টি’ সদস্যরা এসেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। এমনকি বিষয়টি রহস্যজনকও। অবশ্য কয়েকদিন আগে সেনাবাহিনী মগপার্টির একটি গ্রুপকে খাগড়াছড়ি সদরে নিয়ে এসেছে- এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছিল।
তবে অন্য একটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাত ৯টার সময় মানিকছড়ি সাবজোন এলাকায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে তাদের মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়েদের আনাগোনা দেখা গিয়েছিল। সূত্রটির ধারণা, কংচাইঞো মারমাকে হয়তো রাতে মানিকছড়ির কোন স্থান থেকে ধরে খাগড়াছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে মাঝে মাঝে মানিকছড়ি এলাকায় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে কংচাইঞো মারমার নেতৃত্বে মগপার্টির নামে কিছু চাঁদাবাজি, অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনার খবর পাওয়া গেলেও তাদের বড় কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। ইতিপূর্বে সেনাবাহিনীর হাতেও এ গ্রুপের কয়েকজনকে গ্রেফতার হতে দেখা গেছে।