
রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেতে জোয়ার সাহারা মৌজায় মুসলিমদের জন্য দুটি মসজিদ ও হিন্দুদের জন্য একটি মন্দিরের জমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
২৭ আগষ্ট বুধবার রেলভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মসজিদ ও মন্দিরের পরিচালনা কমিটির কাছে বরাদ্দপত্র তুলে দেওয়া হয়।
বরাদ্দপ্রাপ্ত মসজিদ ও মন্দিরের মধ্যে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন জোয়ার সাহারা মৌজায় খিলক্ষেত রেলওয়ে জামে মসজিদের জন্য ০.২০১১ একর (৮৭৬০ বর্গফুট), একই মৌজায় আন-নূর-জামে মসজিদের জন্য ০.০৫৫২ একর (২৪০৫ বর্গফুট) এবং খিলক্ষেত থানাধীন একই মৌজায় খিলক্ষেত সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের জন্য ০.০৫৬২ একর (২৪৫০ বর্গফুট) জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত প্রতীকী মূল্যের বিনিময়ে এসব জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘‘গত বছর দুর্গাপূজার আগে আমাকে জানানো হয় যে রেলের জমিতে একটি মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে। আমি বলেছি, যেহেতু মন্ডপ হয়ে গেছে, তাদেরকে বলে দিও পূজা হয়ে যাওয়ার পরে যাতে মন্ডপ সরিয়ে ফেলে। কিন্তু সেটা সরানো হয়নি। পরে ওই জায়গাটা রেলের প্রয়োজন পড়লে শুধু মন্ডপ নয়, সেখানকার সকল অবৈধ স্থাপনাই সরিয়ে নেওয়া হয়। আমি বলে দিয়েছিলাম, প্রতিমা যাতে সযত্নে বিসর্জন দেওয়া হয়। বালু নদীতে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়। কিন্তু পরে একটি ভিডিও ক্লিপে আমরা দেখেছি প্রতিমা মাটিতে পড়ে আছে। সেটা কীভাবে হলো আমি খোঁজ নিয়েছি। এ ঘটনার জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। মন্দিরের জন্য জমি বরাদ্দের আলোচনার মধ্যে জানতে পারি মসজিদ নিয়েও একইরকমের সংকট আছে। সেজন্য একটি মন্দিরের পাশাপাশি দুটি মসজিদের জন্যও জমি বরাদ্দ দেওয়া হলো।’’
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ড. শেখ মইনউদ্দিন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, ঢাকার বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মো. মহিউদ্দিন আরিফ, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকসহ এলাকার মসজিদের ইমাম ও মন্দির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘চন্দ্রনাথ মন্দিরের সঙ্গে ইতিহাস, ঐতিহ্য জড়িত। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কোনো উসকানিমূলক কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। কোনো ধরনের উসকানির চিহ্ন দেখলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত মন্দিরে যাতায়াতের সিঁড়ি গুলো দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।