
কোচবিহার গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অন্বেষা ঘোষের অস্বাভাবিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় একই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র আনিসুল গনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত অন্বেষা ঘোষের বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে ২১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভারত পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলা শহর লাগোয়া হরিণচওড়া এলাকায় অবস্থিত কোচবিহার গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের গার্লস হস্টেলের তিনতলার একটি ঘর থেকে অন্বেষা ঘোষ কে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার সহপাঠীরা। উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার খবর পেয়ে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস, জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
নিহত অন্বেষা ঘোষের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে। খবর পেয়ে রওনা দেন নিহতের বাবা তাপসকুমার ঘোষ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
নিহত অন্বেষা ঘোষের বাবা বলেন, মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয়। আমাকে রাত দু’টো বেজে তিন মিনিটে ওয়ার্ডেন ফোন করেছিলেন। মেয়ে যে রুমে থাকত সেখানে রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ আবাসিক পড়ুয়ারা ঢুকেছিল। আর আমার মেয়ে পাশের রুমে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে একটার সময় ফিরেছিল। একটা পাঁচে রুমে ঢুকেছিল। ফলে মাঝে মাত্র ১৫ মিনিট সময় থাকছে। ওইটুকু সময়ে এই কাজ কী করে করা সম্ভব? কোনওভাবে এটা ঘটানো হয়েছে এবং পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। আমি একজন প্রাক্তন ছাত্রের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি। এর আগে মেয়ে অসুস্থ হওয়ার সময় ওই প্রাক্তন ছাত্র আমাকে ফোন করেছিল। কিন্তু নিজের নাম সঠিক বলেনি। ঘটনার দিন বিকেলেও ওই ছেলেটি হস্টেলের সামনে এসেছিল।
তিনি আরও বলেন, মেয়েকে ওখানে রেখে আমরা গত ১৯ আগস্ট ফিরে গিয়েছিলাম। তারপর থেকেই মেয়ে বলছিল তার এখানে ভালো লাগছে না। আমি বুঝিয়ে ছিলাম। নিয়ে আসবও বলেছিলাম। আমি চাইছি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।