
বাংলাদেশী বাসিন্দা, প্রাক্তন ডাককর্মী প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে আবেদন করে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
বাংলাদেশ গোপালগঞ্জ জেলায় ডাক বিভাগে পোস্টমাস্টার হিসাবে চাকরি করতেন প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস ৷ বাংলাদেশের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি প্রথমে স্ত্রী ও সন্তানদের ভারতে পাঠিয়ে দেন । তিনি মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে থেকে ভারতে আসা-যাওয়া করতেন । তারপর তিনি ২০০৯ সালে থেকে পাকাপাকিভাবে ভারতে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। বসবাস করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার হেলেঞ্চার বৈচিডাঙায় পরিবারের সঙ্গে। পরবর্তীতে ভারতের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও রেশন কার্ড তৈরি করেন।

প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন।
প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস জানান, “সিএএ আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই তিনি ভারতীয় নাগরিক হওয়ার জন্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এ আবেদনের কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শাসকদল ও বিরোধীদের প্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। শেষমেশ ২০২৫ সালের এপ্রিলে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। প্রশাসনিক স্তরে যাবতীয় নথিপত্র যাচাই হওয়ার পর নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন।”
প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস হাসি মুখে বলেন, “এখন আর কেউ আমাকে ভারত থেকে বিতাড়িত করতে পারবে না। আমি ভারতীয় নাগরিক, ভারত সরকার সেই স্বীকৃতি দিয়েছে।”
প্রমথ রঞ্জন বিশ্বাস আরও বলেন, “ভয় না পেয়ে সকল মতুয়াকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের জন্য। সিএএ নিয়ে মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। আমি কারও কথায় কান না দিয়ে সিএএ-তে আবেদন করে কোনও রকম হয়রানি ছাড়া সার্টিফিকেট পেয়েছি। আমার কোনও ভাতা বা সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়নি।”