
বাংলাদেশে দূর্গাপূজা কে কেন্দ্র করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে মন্দিরের ভিতর কোরান পোড়ানোর ভুয়া ভিডিও। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
এর আগেও ২০২১ সালে দূর্গাপূজা মন্ডপে কোরান অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ তুলে সারা বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করেছে মুসলিমরা।
তাই এবার কোরান অবমাননার ভুয়া ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
জানাযায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়ানো হয়। যেখানে দাবি করা হয় চট্টগ্রাম হাটহাজারীর একটি মন্দিরের পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ পোড়ানো হয়েছে। এই ভিডিও টি ভাইরাল হলে হাটহাজারী থানার পুলিশ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, তখন কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

এই বিষয়ে ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে হাটহাজারীর একটি মন্দিরের পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ পোড়ানো হয়েছে।
বিষয়টি জানামাত্রই হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও হাটহাজারী থানার ওসি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে দেখা যায়, ভিডিওর সঙ্গে উল্লিখিত মন্দিরের কোনো মিল নেই।

তদন্তে ওঠে আসে, ভিডিওতে যেসব টাইলস দেখা যায়, মন্দিরটিতে তেমন কোনো টাইলস নেই। দ্বিতীয় তলার একটি ছোট কক্ষে ভিন্ন ধরনের টাইলস থাকলেও সেগুলো ভিডিওর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। এছাড়া ভিডিওতে দুর্গাপ্রতিমা থাকলেও সংশ্লিষ্ট মন্দিরে এখনও দুর্গাপূজা শুরু হয়নি; শুধু একটি স্থায়ী কালী প্রতিমা রয়েছে। ফলে ভিডিওর সঙ্গে বাস্তব চিত্রের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।

হাটহাজারী থানার অধীন এলাকায় ভিডিওতে প্রদর্শিত মন্দিরের মতো কোনো জায়গাই নেই। তাই এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত হয়েছে। জনগণকে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে জেলা পুলিশ। একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।