সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ এবং বাঙালিদের হামলায় আহত ১০ আদিবাসী।

ছবি: আহত আদিবাসীর।

খাগড়াছড়িতে আদিবাসী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি। তার এই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবারও ‘জুম্ম ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে সকাল সন্ধ্যা অবরোধ চলছে।

গুইমারা রামেসু বাজার এলাকায় গুইমারা টাউন হলের সামনে অবরোধ পালনকালে দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনী অবরোধকারী জুম্ম ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালায়।

আজ অবরোধ চলাকালে পালকালে গুইমারায় রামেসু বাজারে সেনাবাহিনী এবং সেটলার বাঙালিদের হামলা-গুলিবর্ষণে অন্তত ১০ জন আদিবাসী আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে। এতে কয়েকজন মারা যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া সেটলার বাঙালিরা পাহাড়িদের দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করে বেশকিছু দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছে।

জানাযায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ি সদরের খেজুড়বাগান (উপজেলা পরিষদ) এলাকা, মহাজন পাড়া ও পানখাইয়া পাড়া এলাকায় সেটলার বাঙালিরা হামলা চালায়।

আজ সকাল থেকে রামগড়ের জুম্ম ছাত্র জনতা খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধে নামে। তারা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছর গুড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা অবরোধে ব্যবহৃত গাছে গুড়ি পরিষ্কার করতে গেলে অবরোধকারী ছাত্র জনতার সাথে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের সাথে কথাবার্তা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং ছাত্র-জনতা তাদের অবরোধ চালিয়ে নিচ্ছে। সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *