মৌলভীবাজারে নিখোঁজ চা-শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার।

ছবি: রহস্যজনক মরদেহ।
ছবি: রহস্যজনক মরদেহ।

চা-বাগানের নালা থেকে চা-শ্রমিক রামবচন গোয়ালার(৪০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা জুড়ী উপজেলার কাপনাপাহাড় চা-বাগানের নালা থেকে লাশটি উদ্ধার করে জুড়ী থানা-পুলিশ।

নিহত রামবচন গোয়ালা ক্লিভডন চা-বাগানের শ্রমিক ছিলেন। তিনি কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নিহত রামবচন গোয়ালা নিখোঁজ হয়।

জানা যায়, চা–শ্রমিক দম্পতি ক্লিভডন চা-বাগানের শিবুটিলা এলাকায় থাকেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রামবচন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ ছিল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে স্বজনেরা শনিবার কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে রোববার দুপুরে খোঁজ করতে গিয়ে কাপনাপাহাড় চা-বাগানের পাহাড়ি ছড়ার কাছে কাঁচা রাস্তায় একজোড়া স্যান্ডেল ও রক্তের দাগ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে ছড়ায় রামবচনের লাশ ভেসে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

চা-শ্রমিক হেমন্তী গোয়ালা (৩৫) বিলাপ করে বলছিলেন, ‘কইছিল, পূজায় সবাইরে নতুন কাপড় কিনিয়া দিব, মন্দিরে নিয়া ঘুরাইতে যাইব। মানুষটারে কোন অসুরে মারিয়া ফেলল। আমার সব শেষ হই গেল।’

রামবচনের স্ত্রী হেমন্তী গোয়ালা ও তাঁর চাচাতো ভাই ক্লিভডন চা-বাগানের শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অজিত গোয়ালা জানান, রামবচনের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল বলে তাঁদের জানা নেই। এ ঘটনায় তাঁরা জুড়ী থানায় হত্যা মামলা করবেন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে রামবচনের ঘাড় ও থুতনিতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে হত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কে বা কারা যুক্ত, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *