
গত ৮আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে ঢুকে এক হিন্দু নারীকে(৪৯) জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং স্বর্ণ, টাকা এবং মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া এলাকায়। এই ঘটনায় দুই মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সর্ম্পেকে তারা ভাই হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীর ঘরে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি প্রবেশ করে। তারা ছুরি দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে ভয় দেখায় এবং মারধর করে হাত-পা-মুখ বেঁধে রাখে। পরে প্রধান আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (২৬) ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী সোহাগের কণ্ঠস্বর ও গালিগালাজ শুনে শনাক্ত করেছেন। তার ধারণা, অপর ব্যক্তি হল সোহাগের ছোট ভাই মনোয়ারুল ইসলাম ওরফে শিমুল (২২)।
আসামিরা ধর্ষেণের পর একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল (ওজন ২ আনা), একটি নোকিয়া বাটন মোবাইল, একটি পুরোনো স্মার্টফোন এবং নগদ তিন হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর আসামিদের পরিবারের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় সোহাগ ও শিমুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনায় এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে ভুক্তভোগী ও পার্শ্ববর্তী হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই