
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মৌসুমী হক (ধর্মান্তরিত নাম) লাভ জিহাদের ফাঁদে পরে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম যুবক মোজাম্মেল হক মুন্না কে বিয়ে করেন। বিয়ের প্রায় ১৩ বছর পর মৌসুমী হক (ধর্মান্তরিত নাম) কে তালাক দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয় মোজাম্মেল হক মুন্না। এছাড়াও মৌসুমী হক এর সোয়া কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট, প্রায় ১৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থসহ প্রায় আড়াইকোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে মোজাম্মেল হক মুন্না। মোজাম্মেল হক মুন্না শারীরিক-মানসিক নির্যাতনও করেছেন মৌসুমী হক কে। মোজাম্মেল হক মুন্নার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করার পর মৌসুমী হক কে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন।
বর্তমানে মোজাম্মেল হক মুন্না মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
গত ১৭ আগষ্ট রোববার দুপুরে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মৌসুমী হক।

সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী হক জানান, ২০১০ সালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার সানাউল্লাহর ছেলে মোজ্জামেল হক মুন্নার সাথে আমার পরিচয় হয়। তখন তাদের একটি টিনের ঘর ছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একত্রে পড়াশোনাকালে আমাকে প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যেতেন। কিন্তু কোথায়ও তিনি নিজের আইডি কার্ড ব্যবহার না করে আমার পরিচয় আর আইডি কার্ড দিয়ে হোটেল বুকিং দিতেন। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বললে মুন্না আমাকে ধর্ম ত্যাগ করতে বলে। আমি ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে ২০১১ সালে হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হই এবং মুন্না আমাকে বিবাহ করেন।
পরবর্তীতে মোজাম্মেল হক মুন্না আমার টাকা এবং গাড়ি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় পরিচিতি দিয়ে তদবির-লবিংয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হন ২০১৮ সালের ৫ জুন। সে সময় আমিসহ তার ৩জন স্ত্রী। আমাকে না জানিয়ে তিনি পরকীয়ায় যুক্ত থাকতেন, বিয়ে করতেন। প্রতিবাদ করলে আমায় তালাকের হুমকি দিয়ে মারধর করতো।
আমাকে নির্যাতনের প্রমাণ সুনির্দিষ্টভাবে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দাখিল করলে যাচাইয়ের পর একমাসের জন্য মুন্নাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। কিন্তু গত ৩০ জুন মুন্নার নেতৃত্বে বিশাল র্যালি দেখে আমি অবাক। তার ক্ষমতা ও টাকার কাছে আমার আর্তনাদ হারিয়ে গেছে?
২০২৪ সালের ৬ আগস্ট মুন্না ও আমি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরেই আমাকে ডিভোর্সের কথা জানিয়ে দিলে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি মামলা করতে গেলেও আমাকে হয়রানি করে। সন্ত্রাসী, পুলিশ, সিআইডি ও তার পরিবারের লোক কেউ বাদ রাখেনি আমায় হুমকি এবং অত্যাচার করতে।
ডিভোর্স দিয়ে এক নিমিষেই আমার জীবন জাহান্নাম বানিয়েছে সে। কি অপরাধ ছিল আমার বলুন? আমি শুধুমাত্র একটি সংসার চাই। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আমার অত্যাচারের ন্যায্য বিচার চাই। আমার স্বাভাবিক জীবন, আমার টাকাসহ সম্পদ ফেরত দিন, আপনি আমার পাশে দাঁড়ান।