
শুন শুন বঙ্গবাসী যত সুহৃদ গণ।
নোয়াখালীর ইতিকথা করি নিবেদন।।
কোজাগরী পূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ।
ধীরে ধীরে বইতেছে মলয় বাতাস।।
বাঙ্গালার গৃহে গৃহে আনন্দ কলরব।
গৃহলক্ষ্মী সবে মিলি করে লক্ষ্মীর স্তব।।।
সন্তান সন্ততি যত কোলাহল করে।
গৃহস্থের মুখে হাসি মা লক্ষ্মীর বরে।।
হেন কালে দেশে হইল ঘোর অমঙ্গল।
জাগিয়া উঠিল যত যবনের দল।।
শান্ত পল্লীবাসী ভয়ে মরে ত্রাসে।
কালান্তক ডাকিনী যেন অট্টহাসে।।
গেল মান গেল প্রাণ নারীর লজ্জা।
নিজ বাসভূমি হইল কন্টক সজ্জা।।
পিতার গৃহ হইতে কন্যারে কাড়িয়া।
নিকাহ করিল তারে ভ্রাতারে মারিয়া।।

কুলবধূ যত ছিল সিন্দুর মুছাইল।
যবনের হাতে সবে সতীত্ব হারাইল।।
কিশোর যুবক আর যত বৃদ্ধ জন।
কলেমা পড়িয়া তবে পাইল জীবন।।
হিন্দুর পল্লী সবে হইল শ্মশান।
তুলসী তলার বাতি হইল গিয়া ম্লান।।
গৃহে গৃহে হরিধ্বনি শুনা নাই যায়।
গোহত্যা হইল সেথা আরব সহায়।।
নোয়াখালী জেলা ছিল যেন তপোবন।
ধ্বংস করিল সবে বাঙ্গালার যবন।।
কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে পূর্ণচন্দ্র হাসে।
পাঁচালী শুন সবে কর্ম অবকাশে।।
বিফল হইবে না পাঁচালী শ্রবণ।
চিনিবে বঙ্গবাসী আসল শমন।।
জয় জয় লক্ষ্মী দেবী, মা নারায়ণী।
তোমার কৃপায় শেষ করি পদখানি ।।