জামায়াতে নেতার মারধরের শিকার হিন্দু মা-মেয়ে।

ছবি: জামায়াতে নেতার মারধরের শিকার হিন্দু মা-মেয়ে।

জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হিন্দু পরিবারের এক নারী ও তাঁর মেয়েকে মারধর করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মেহেদি খাঁ।

এই ঘটনা ঘটে, ২১ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী জেলা বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার জেলেপাড়ায়।

মারধরের একটি ভিডিও গত ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হিন্দু পরিবারের সদস্য উত্তম কুমার দাস বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী উত্তম কুমার দাস রাজশাহী জেলার তাহেরপুর পৌরসভার জেলেপাড়ার বাসিন্দা। অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মেহেদি খাঁর বাড়িও একই এলাকায়।

জেলেপাড়ার স্থানীয় কয়েকজন জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর ওপর হামলাকারী ব্যক্তি মেহেদি খাঁ জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা মেহেদি খাঁকে তাহিরপুর পৌরসভা জামায়াতের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সেক্রেটারি হিসেবে জানেন। মেহেদি নিজেও এই পরিচয় দেন। তাঁর বাড়ির পাশে ওই হিন্দু পরিবারটির বসবাস। জমি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

লিখিত অভিযোগে উত্তম কুমার দাস উল্লেখ করেন, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মেহেদি খাঁর নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁর স্ত্রীর ওপর হামলা চালান। এ সময় তাদের মেয়ে এগিয়ে গেলে তাঁকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। আহত হয়ে তারা বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। মূলত হিন্দু বলে আমাদের উচ্ছেদ করতে প্রভাবশালী মেহেদি খাঁ এ হামলা চালিয়েছে। তিনি এখনও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।

মেহেদি খাঁ তাদের দলের কিনা– এ বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট কিছু বলেননি উপজেলা জামায়াতের নেতারা।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে মেহেদি খাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি কয়েক দিন আগের। আজ শনিবার তাহেরপুর পৌরসভায় উভয় পক্ষকে নিয়ে একটা মীমাংসার কথা রয়েছে। যদি মীমাংসা না হয়, তাহলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *