
ক্যামব্রিয়ান কলেজের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত রায় (১৭) কে অপহরন, পরিবারের কাছে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি এবং সুদীপ্ত রায় কে হত্যা করে তারই পূর্ব পরিচিত মুসলিম বন্ধু জুনায়েদ দেওয়ান (২২) এবং আবদুল্লাহ (২২)।
সুদীপ্ত রায় (১৭) রাজধানী ঢাকার ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের জগন্নাথপুর শাখার একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। এবং ভাটারার শহীদ আবদুল আজিজ সড়কে ক্যামব্রিয়ান কলেজের হোস্টেলে থাকত।
সুদীপ্ত রায় ৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে নিখোঁজ হয় এবং ১১ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার শাহ আলী থানাধীন তুরাগ সিটি এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত জুনায়েদ দেওয়ান (২২) এবং আবদুল্লাহ (২২) দুজন ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করে ঢাকায় চাকরির জন্য এসেছিলেন। তাঁরা দিয়াবাড়ির ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহর বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে, নিহত সুদীপ্ত রায়ের বাড়িও ঠাকুরগাঁওয়ে এবং দুজনই পূর্ব পরিচিত বন্ধুর মতো সর্ম্পক ছিলো।
সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে শুক্রবার বিকেলে মুঠোফোনে সুদীপ্তকে দিয়াবাড়ির ফ্ল্যাটে ডেকে নেন আবদুল্লাহ। সেখানে যাওয়ার পর রাতে কৌশলে সুদীপ্তর মুঠোফোন নিয়ে নেয় তারা। সুদীপ্ত ঘুমানোর পর গ্রেপ্তার দুজন পরিবারের কাছে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চান। সকালে সুদীপ্ত নিজের মুঠোফোন খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তখন আবদুল্লাহ ও জুনায়েদ মুঠোফোনটি দিতে চাননি। একপর্যায়ে মুঠোফোন নিয়ে সুদীপ্ত তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলেন। তখন সুদীপ্তকে তাঁর বাবা রাতে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার কথা জানান। পরে এ নিয়ে আবদুল্লাহ ও জুনায়েদের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয় সুদীপ্তর।
কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুদীপ্তর গলায় আঘাত করেন আবদুল্লাহ। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুদীপ্তর গলায় আরও আঘাত করা হয়। সুদীপ্তর মৃত্যুর পর তাঁরা মরদেহ রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যান।
সুদীপ্তকে অপহরণের ঘটনায় তার বাবা হিমাংশু কুমার রায় ৮ নভেম্বর ভাটারা থানায় অপহরণের একটি অভিযোগ করেন। সুদীপ্তর লাশ উদ্ধারের পর সেটি হত্যা মামলা করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ৭ নভেম্বর রাত পৌনে তিনটার দিকে সুদীপ্তর মোবাইল থেকে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দাবি করা টাকা না দিলে সুদীপ্তকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। রাত তিনটার দিকে আবার ফোন দিয়ে জানতে চান, তাঁরা কত টাকা দিতে পারবেন। ১০ লাখ টাকা দিতে পারবেন বলে জানানো হয়। পরে সুদীপ্তর পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ নভেম্বর রাতে জানানো হয়, তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা দিতে পারবেন। সেই টাকা ময়মনসিংহে দিয়ে আসতে বলেন অপহরণকারীরা। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় তাঁরা সেদিন টাকা নিয়ে যেতে পারেননি। টাকা না পেয়ে তাঁরা সুদীপ্তকে হত্যা করেন।
cannabis products online trusted secure